ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নির্বিঘ্নে মুক্তি পেলেন জামায়াত নেতা জাফর সাদেক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৪
নির্বিঘ্নে মুক্তি পেলেন জামায়াত নেতা জাফর সাদেক জামায়াত নেতা জাফর সাদেক

চট্টগ্রাম: যুদ্ধাপরাধীদের রায় পরবর্তী সহিংসতার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির জাফর সাদেক জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

এর আগে চারবার জামিনে মুক্তির পর জেলগেট থেকে তাকে আটক করেছিল পুলিশ।

কিন্তু এবার পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে গ্রেপ্তারের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এর ফলে নির্বিঘ্নেই বেরিয়ে গেছেন জাফর সাদেক।


জেলা পুলিশের সাতকানিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার একেএম এমরান ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, জাফর সাদেক সব মামলাতেই জামিনে আছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব মামলা ছিল প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ মামলাতেই তদন্তের স্বার্থে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। নতুন কোন মামলা না থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

কারা কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া থানার ১১টি এবং নগরীর বিভিন্ন থানার পাঁচটি মামলায় তাকে শ্যোন এ্যারেস্ট দেখানো হয়েছিল। এর মধ্যে সব মামলাতেই তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন।

সর্বশেষ মামলায় বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে জামিন আদেশ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে। এরপর বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নেছার আহমেদ মুকুল।

সূত্র জানায়, জাফর সাদেকের মুক্তি পাবার বিষয়টি কারা কর্তৃপক্ষ এবং গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ নগর ও জেলা পুলিশের বিশেষ শাখাকে অবহিত করা হয়েছিল। কিন্তু মুক্তির সময় পুলিশ কারাফটকে ছিলনা। মুক্তির পর জাফর সাদেক কারাফটকে আগে থেকে অপেক্ষমাণ একটি মাইক্রোবাসে করে চলে যান।

২০১৩ সালের ২৫ এপ্রিল নগরীর মেহেদিবাগ এলাকায় জামায়াত নিয়ন্ত্রিত একটি হাসপাতাল থেকে জাফর সাদেককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির আদেশের পর চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় সহিংস তান্ডব চালায় জামায়াত-শিবিরের ক্যাডারেরা। তাদের তান্ডবে লোহাগাড়া থানার কনস্টেবল তারেকসহ কমপক্ষে ৪ জন নিহত হন।  
এরপর ওই বছরের ৪ এপ্রিল চট্টগ্রামের একটি আদালতে জবানবন্দি দিয়ে লোহাগাড়ার চরম্বা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির শামসুল আলম হেলালি জানায়, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির আদেশের পর চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় সহিংস তান্ডবের অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে এক হাজার টাকা করে দিয়েছিল জামায়াত-শিবির। ওই তান্ডবে জামায়াত-শিবির তাদের কর্মী, সমর্থকসহ প্রায় তিন থেকে চার হাজার লোককে ব্যবহার করে।

আর পুরো তান্ডবের পরিকল্পনায় ছিলেন নগর জামায়াতের আমির সাংসদ আ ন ম শামসুল ইসলাম, সাবেক সাংসদ শাহজাহান চৌধুরী এবং দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির জাফর সাদেক। ওই জবানবন্দিতে জাফর সাদেকের নাম আসার পর তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।