ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হিমু হত্যা মামলা

দ্রুবি ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য শুরু ২৭ জুলাই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৪
দ্রুবি ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য শুরু ২৭ জুলাই

চট্টগ্রাম: দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ২৭ জুলাই থেকে কুকুর লেলিয়ে দিয়ে মেধাবী ছাত্র হিমাদ্রী মজুমদার হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হচ্ছে।

গত ১৫ জুলাই মামলাটি চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর হয়েছে।

এরপর বুধবার আদালত ২৭ জুলাই থেকে সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করেছেন।

দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট আইয়ূব খান বাংলানিউজকে বলেন, ২৭ জুলাই থেকে হিমু হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারিত হয়েছে।


হিমু হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ষষ্ঠ সাক্ষী মাদক বিরোধী সংগঠন ‘শিকড়’র সাধারণ সম্পাদক জাওয়ীদ আলী চৌধুরীর সাক্ষ্য শেষে জেরা চলছে।

২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল নগরীর পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ফরহাদ ম্যানশন নামের ১০১ নম্বর বাড়ির চারতলায় হিমুকে হিংস্র কুকুর লেলিয়ে দিয়ে নিমর্মভাবে নির্যাতন করে সেখান থেকে ফেলে দেন অভিজাত পরিবারের কয়েকজন বখাটে যুবক।

গুরুতর আহত হিমু ২৬ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ২৩ মে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। হিমু পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ইংরেজি মাধ্যমের সামারফিল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের ‘এ’ লেভেলের শিক্ষার্থী ছিলেন।

এ ঘটনায় হিমুর মামা প্রকাশ দাশ অসিত বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্ত পাঁচ আসামি হলেন, জাহিদুর রহমান শাওন, জুনায়েদ আহমেদ রিয়াদ ও তার বাবা শাহ সেলিম টিপু, শাহাদাত হোসেন সাজু এবং মাহবুব আলী ড্যানি।

২০১২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পাঁচলাইশ থানা পুলিশ ওই মামলায় এজাহারভুক্ত পাঁচজন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। গত ৩ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।