চট্টগ্রাম: বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে চট্টগ্রামের বেসরকারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ইউএসটিসি) ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সচিব ডা. নীনা ইসলাম, উপাচার্য ডা. রেজাউল করিম, উপ উপাচার্য নুরুল আবসার এবং নিবন্ধক অধ্যাপক শামস উদ দোহাকে প্রায় তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রেখে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বিএমএ নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠক ও বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলমান সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করতে সকালে ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য সচিব ডা. নীনা ইসলামসহ অন্যরা ক্যাম্পাসে যান।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছাবার পর তারা উপ উপাচার্যের কক্ষে মিলিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জড়ো হয়ে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে।
এ সময় ঈদ বোনাস ও বেতনসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করে তারা।
পরে দুপুর ২টার দিকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ইউএসটিসি আন্দোলনকারী সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব আনোয়ারুল ইসলাম বাপ্পী বাংলানিউজকে জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশের পরও ন্যায্য বেতন-বোনাস না দেওয়ায় ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য সচিবসহ অন্যদের অবরুদ্ধ রাখা হয়। অবিলম্বে বেতন-বোনাস দিয়ে সকল দাবি মেনে না নিলে আরো কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।
খুলশী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. মিনহাজ বাংলানিউজকে বলেন, কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী উপ উপাচার্যের কক্ষের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছিল। আমরা তাদের সরিয়ে দিয়েছি।
এদিকে টানা আন্দোলনের ৫৫তম কর্মদিবসে মঙ্গলবারও টানা চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। একইদিনে এছাড়া বিশ্ববিদ্যারয়ের প্রধান ফটকে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা।
আন্দোলনকারি সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এ এইচ এম ইছহাক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে মেডিসিন ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক ডা. মোকাদ্দেস আক্তার বেগম, সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও ইউএসটিসি’র সিন্ডিকেট মেম্বার ডা. বদিউল আলম, ফরেনসিক মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মাহমুদুল হক চৌধুরী, সহযোগী অধ্যাপক ডা. এ বি এম মোহাম্মদ আলী, অধ্যাপক ডা. দিদারুল আলমসহ শিক্ষক-চিকিৎসক,কর্মকর্তা, কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত চাকরি বিধিমাল করা, আচার্য নিযুক্ত, উপাচার্য নিয়োগসহ বিভিন্ন দাবিতে গত ১৮ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আন্দোলন চালিয়ে আসছে। আন্দোলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৪