চট্টগ্রাম: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেইন প্রকল্পের ঠিকাদার চীনা প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো লিমিটেডের কাজে হতাশা প্রকাশ করেছেন যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
চার লেইন প্রকল্পের কাজের পাশাপাশি বিদ্যমান সড়ক সংস্কারের বিষয়টি চুক্তিতে থাকলেও সিনো হাইড্রো চুক্তি অনুযায়ী কাজ করছে না বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
শনিবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানজট নিরসনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এ অভিযোগ করেন।
মন্ত্রী বলেন, কন্ট্রাক্টে আছে-ঠিকাদার (সিনো হাইড্রো) নতুন রাস্তা বানানোর পাশাপাশি পুরনো রাস্তা মেরামতের দায়িত্ব পালন করবে।
তিনি বলেন, চীনা কোম্পানি যেহেতু কাজ করছে না, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি নিজেদের ফান্ড থেকে লোকাল ঠিকাদার নিয়োগ করে আপদকালীন সময়ে মেরামতের কাজ করবো। বর্ষা এবং রমজানের মধ্যে মহাসড়কে ভয়াবহ যানজট থেকে জনগণকে মুক্তি দিতে আমাদের সবাইকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
যোগাযোগ মন্ত্রী জানান, মেরামত কাজ মনিটরিংয়ের জন্য কয়েকটি টিম গঠন করা হবে এবং চট্টগ্রামে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কার্যালয়ে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি মনিটরিং অফিস রোববার থেকে চালু হবে।
সওজের কর্মকর্তাদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি আজ অনেক নরম ভাষায় কথা বলেছি। আমি কিন্তু এত নরম মানুষ নই। মানুষ কষ্ট করলে আপনাদের শাস্তি পেতে হবে। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে শাস্তি পেতে হবে।
সিনো হাইড্রোর বিষয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাজের ১০টি প্যাকেজের মধ্যে ৭টি প্যাকেজের দায়িত্ব সিনো হাইড্রোকে দেওয়া হয়েছে। অনেকে বলেন, এটি অবাস্তব। আমি আসার আগেই এটি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘একটু করে কেউ হরতাল-অবরোধ ডাকলেই সিনো হাইড্রো কাজ বন্ধ করে দেয়। বর্ষাকাল এলে তারা কাজ করে না। হরতাল-অবরোধে কাজের পরিবেশ থাকে না সেটা ঠিক। কিন্তু কাজ বন্ধ করে দেওয়া ঠিক নয়। এরপরও সেটি মেনে নিতাম যদি তারা পুরানো সড়ক মেরামতের কাজটা চালিয়ে যেতেন। ’
মতবিনিময় সভার এক পর্যায়ে যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফরিদ উদ্দিন চৌধুরীকে ফোন করে সিনো হাইড্রো নিয়ে হতাশার বিষয়টি জানান।
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে সীতাকুণ্ডের সংসদ সদষ্য দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল নিজাম ইউ আহমেদ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. নওশের আলী, সিএমপি কমিশনার মো.শফিকুল ইসলাম ও অতিরিক্ত কমিশনার (অর্থ, ট্রাফিক ও প্রশাসন) একেএম শহীদুল ইসলাম, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এ কে এম হাফিজ আক্তার, সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন, নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের দুই উপ কমিশনার ফারুক আহমেদ ও সুজায়েথ ইসলাম, ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মাবুদ, আন্ত:জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাজী রহুল আমিন, আন্ত:জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কফিল উদ্দিন এবং হাইওয়ে পুলিশ ও সওজের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, জুন ২৮,২০১৪