ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

প্রধানমন্ত্রীর কাছে মেয়রের কৃতজ্ঞতা পত্র

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৫ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৪
প্রধানমন্ত্রীর কাছে মেয়রের কৃতজ্ঞতা পত্র

চট্টগ্রাম: নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির(একনেক) সভায় বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত নতুন খাল খনন করার প্রকল্প পাশ করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম মনজুর আলম।

মঙ্গলবার একনেক সভায় প্রকল্পটি পাশ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক পত্রের মাধ্যমে এ কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

একই সঙ্গে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পত্র দেন মেয়র।

পত্রে মেয়র এম মনজুর আলম উল্লেখ করেন,  চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৯৯৫ সালে জাতি সংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) প্রণীত ড্রেনেজ মাস্টার প্ল্যানের রূপরেখা অুনযায়ী একনেক এর ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরের ২৬ তম সভায় চট্টগ্রাম মহানগরীর বহদ্দারহাট বারই পাড়া হতে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত ২.৯ কি.মি. খাল খননের জন্য ২৮৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকার প্রকল্প চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য চট্টগ্রাম মহানগরীর সর্বস্তরের অধিবাসী, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরবৃন্দ ও আমার পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানায় অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।


তিনি বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে নগরীর জলাবদ্ধতা অনেকাংশে হ্রাস পাবে।

মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর এই মূল্যবান ও যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত চট্টগ্রামের মানুষ চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। একই সঙ্গে ড্রেনেজ মাস্টার প্ল্যানে প্রস্তাবিত অন্যান্য প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হলে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা কাঙ্খিত পর্যায়ে হ্রাস পাবে বলে জানান মেয়র।

পৃথক পত্রে মেয়র এম মনজুর আলম স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকেও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

তিনি বলেন, প্রকল্প চূড়ান্ত অনুমোদন লাভের নেপথ্যে মাননীয় এলজিআরডি মন্ত্রীর আন্তরিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টার কথা চট্টগ্রামের মানুষ চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মেয়র এম মনজুর আলম যোগাযোগ রাখেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন স্বয়ং মন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার থাকা অবস্থায় তিনি মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। সরকার তাকে সাহায্য করবে না, এটা যদি তিনি ভেবেই থাকেন, তবে তাকে মেয়র হতে কে বলেছেন?

মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের মেয়র পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করেন না। মেয়র না চাইতেই আমরা তাকে দিয়েছি।

মন্ত্রীর অভিযোগ প্রসঙ্গে সিটি মেয়র এম মনজুর আলম বাংলানিউজকে বলেন, সিটি কর্পোরেশন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা। চট্টগ্রামের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছি। পরিকল্পনা মন্ত্রী যদি ডাকেন তাহলে তার সঙ্গেও বসবো।

২০১১ সালের ২৯ নভেম্বর বহদ্দারহাট বারই পাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত ২৯৫ কোটি ১০ লাখ টাকার প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রণয়ন করে অনুমোদনের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠায় সিটি কর্পোরেশন। একই বছর ২৭ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প বাছাই কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিটি মেয়র, চউক চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের অর্থায়নে কোন সংস্থা কিভাবে কতটুকু অবদান রাখবে তার সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব উল্লেখ করে পুনরায় প্রকল্পের ডিপিপি দাখিল করে। রোববার কর্পোরেশনের বাজেট অধিবেশনে মেয়র এম মনজুর আলম প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান। মঙ্গলবার একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটির অনুমোদন দেন। প্রকল্পের মোট ব্যয়ের ৭৫ শতাংশ অর্থ দেবে সরকার। বাকি ২৫ শতাংশ অর্থ করপোরেশন নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করবে বলে বাজেট পেশ অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন মেয়র।

প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার থেকে তিনদিনের টানা বর্ষণে পানিবন্দী হয়ে চরম দূর্ভোগে পড়ে চট্টগ্রামবাসী। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৯৯৫ সালে প্রণীত ড্রেনেজ মাস্টার প্ল্যানে তিনটি নতুন খাল খননের প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু প্রায় ১৫ বছর পার হলেও একটি খালও খনন করা হয়নি।

** চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতামুক্তসহ তিন প্রকল্প অনুমোদন

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।