ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইমাম গ্রুপের ১৬ মামলার অভিযোগ গঠন ৬ জুলাই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২২ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৪
ইমাম গ্রুপের ১৬ মামলার অভিযোগ গঠন ৬ জুলাই ছবি: প্রতীকী

চট্টগ্রাম: চেক প্রতারণার অভিযোগে খ্যাতনামা শিল্প প্রতিষ্ঠান ইমাম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ১৬টি মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য আগামী ৬ জুলাই সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার আদালত অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু করতে চাইলে মোহাম্মদ আলীর আইনজীবীরা মামলাগুলো খারিজের আবেদন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন আছে বলে জানান।

এ অবস্থায় অভিযোগ গঠনের শুনানি হতে পারবেনা বলেও দাবি করেন আইনজীবীরা।

আদালত এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মূল সনদ ৬ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দিতে আসামীপক্ষকে আদেশ দেন।
অন্যথায় ৬ জুলাই রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে অভিযোগ গঠন করা হবে বলে আদালত আদেশে উল্লেখ করেছেন।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মুজিবুর রহমানের আদালতে এ মামলার কার্যক্রম চলছে।

চট্টগ্রাম মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট মো.ফখরুদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আসামীপক্ষ বারবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আদেশের কথা বললেও ওই আদেশের মূল কপি আদালতে জমা দিতে পারছেনা। আমি আপত্তি তোলার পর আদালত ৬ জুলাই তাদের সময় বেঁধে দিয়েছেন। অন্যথায় ওইদিন অভিযোগ গঠন হবে।

এর আগে গত ১৬ জুন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মূল সনদ জমা দেয়া নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামীপক্ষের মধ্যে তুমুল বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। বিচারকের সামনে দু’পক্ষের আইনজীবীরা তর্কের পাশাপাশি একে অপরের দিকে তেড়ে যান বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।  

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ইমাম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন আদালতে ১৩০ কোটি টাকার চেক প্রতারণার অভিযোগে নিগোশিয়েবল ইনস্টুমেন্ট অ্যাক্টের ১৩৮ ধারায় মোট ৩২টি মামলা বিচারাধীন আছে। ২০১২ ও ২০১৩ সালের বিভিন্ন সময়ে এসব মামলা দায়ের হয়েছে।

মঙ্গলবার আদালতে ইসলামী ও কৃষি ব্যাংকের দায়ের করা ৬৫ কোটি টাকার চেক প্রতারণার ১৬টি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় নির্ধারিত ছিল।

সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল আসামীপক্ষ এসব মামলা খারিজের আবেদন জানিয়ে ৪০১৬৩/২০১২ রিটমূলে একটি কোয়াশমেন্ট পিটিশন হাইকোর্টে দাখিল করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট ওই আবেদন খারিজ করে দেন।

এরপর আসামীপক্ষ সুপ্রিমকোর্টে লিভ টু আপিল দায়ের করে যা বিচারাধীন অবস্থায় আছে। গত ২৯ মে মামলাগুলো শুনানির জন্য চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে তোলা হলে আসামীপক্ষের আইনজীবীরা আদালতকে জানান, উচ্চ আদালতে কোন মামলা বিচারাধীন থাকলে ওই মামলা স্থগিতের বিষয়ে কোন আদেশ না দিলেও নিম্ন আদালত মামলার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারবেনা। ওইদিন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আপিল বিভাগে মামলা বিচারাধীন থাকার বিষয়ে ইনফরমেশন স্লিপ দাখিলের নির্দেশ দেন।

এরপর আসামীপক্ষ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সুপারিট্যানডেন্ট (বিচার) ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদের স্বাক্ষরিত একটি সনদ চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে জমা দেন। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ এ সনদ আসল কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, জুন ২৪,২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।