চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে পুলিশ সদস্য খুনের মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে দন্ডবিধির নতুন একটি ধারা সংযোজনের আবেদন জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে আদেশ সহ মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য আগামী ৮ জুলাই সময় নির্ধারণ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মুজিবুর রহমান।
চট্টগ্রাম মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট মো.ফখরুদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আজ (সোমবার) মামলার অভিযোগ গঠনের সময় নির্ধারিত ছিল।
মহানগর পিপি জানান, পুলিশ খুনের মামলাটি তদন্ত করে অভিযোগপত্র জমা দেয়ার পর তার হারিয়ে যাওয়া মোবাইল সেটটি উদ্ধার হয়েছে। এ ধরনের আলামত উদ্ধারের ঘটনায় ন্যায়বিচারের স্বার্থে অভিযোগপত্রে দণ্ডবিধির ৪১২ ধারা সংযুক্ত হওয়া প্রয়োজন। সেজন্য রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে নতুন আবেদন জমা দিয়েছে।
উল্লেখ্য চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি রাতে নগরীর আগ্রাবাদ ব্যাংক কলোনি গেইটে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন পুলিশ সদস্য নায়েক ফরিদুল ইসলাম। ১৬ জানুয়ারি ভোরে নগরীর হালিশহর থানার বন্দর টোল রোডে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন এ মামলার দুই আসামি নাসির উদ্দিন ও ইসমাইল হোসেন রাজিব।
তখন পুলিশ কর্মকর্তারা দাবি করেন, পুলিশ খুনের ঘটনায় জড়িত ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য ছিলেন নাসির ও রাজিব। তাদের গ্রেপ্তারের পর সঙ্গে নিয়ে চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযানে গেলে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তারা মারা যান। তবে নাসির ও রাজিবের পরিবারের সদস্যদের দাবি ছিল, তাদের ধরে নিয়ে গুলি করে পুলিশ।
এ মামলা তদন্ত শেষে গত ১৭ এপ্রিল আদালতের নিবন্ধন শাখায় মামলাটির অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা ও নগরীর ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান খন্দকার। অভিযোগপত্রে আসামি করা হয় জসিম উদ্দিন রাজু, মাবুদ দুলাল, অর্জন দে ও মো. মনিরকে। এছাড়া ৩১ জনকে সাক্ষী করা হয়।
অবশ্য ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত নাসির উদ্দিন (৩২) ও ইসমাইল হোসেন রাজিবকে (৩০) অভিযোগপত্রে অব্যাহতি দেয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ঘন্টা, জুন ২৩, ২০১৪