ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চবিতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে উত্তেজনা, এলজিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৯ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৪
চবিতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে উত্তেজনা, এলজিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু্’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সোমবার সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুইটি গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে।

এ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

এদিকে, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থান ও উত্তেজনার মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেইট এলাকা থেকে একটি দেশীয় তৈরী অস্ত্র সহ বেশ কিছু ধারালো অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে হাটহাজারী থানা পুলিশ।


উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি দেশীয় তৈরী এলজি, ২টি রামদাসহ বেশ কয়েকটি ছুরি ও লোহার রড।

বেলা বারোটার দিকে শফি টাওয়ার নামে একটি ভবনের সিড়ির নিচে পরিত্যক্ত একটি ব্যাগ থেকে পুলিশ এসব অস্ত্র উদ্ধার করে।

হাটহাজারী থানার ওসি তদন্ত আবুল কাশেম ভুঁইয়া জানান, ভবনের সিড়ির নিচে পরিত্যক্ত অবস্থায় ব্যাগের ভেতর একটি এলজিসহ কিছু ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি অমিত কুমার বসু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন মামুন গ্রুপের সঙ্গে সহ-সভাপতি সাব্বির আহমেদের অনুসারীদের দ্বন্ধ চলে আসছে।

এ নিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে একাধিকবার হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছিলো। অমিত কুমার বসু ও সুমন মামুনের অনুসারীদের দীর্ঘ দিন ধরে সাব্বির অনুসারীরা ক্যাম্পাসে ঢুকতে দিচ্ছেন না।

সম্প্রতি আওয়ামী লীগ নেতা নাসির হায়দার বাবুলের উপর হামলার ঘটনায় অমিত কুমার বসু অনুসারীরা টানা অবরোধ পালন করে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে তারা অবরোধ স্থগিত করলেও দাবি না মানায় তাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অন্যদিকে, অবরোধকারীদের শাস্তির দাবি করে আসছে সাব্বির অনুসারীরা।

ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, দু’গ্রুপের দ্বন্ধের জের ধরে কয়েকদিন আগে অমিত অনুসারী নজরুল ইসলাম নামে ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে পিটুনি দেয় সাব্বির অনুসারীরা।

সোমবার এ ঘটনায় উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য অমিত কুমার ও সুমন অনুসারীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে চাইলে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

এসময় সাব্বির অনুসারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ এবং অমিত-সুমন অনুসারীরা দুই নম্বর গেইটে অবস্থান নেয়।

একপর্যায়ে সুমন মামুন অনুসারী ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক আলাউদ্দিন আলমসহ কয়কজন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করলে প্রতিপক্ষের কর্মীরা ভবনটি ঘেরাও করে ফেলে। এসময় উভয় গ্রুপের মধ্যে ধস্তধস্তি হয়। পরে পুলিশী প্রহরায় অমিত-সুমন অনুসারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

এ ঘটনার পর অমিত-সুমন অনুসারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তর এবং প্রতিপক্ষের কর্মীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৯ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।