ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বর্হিনোঙ্গরে পণ্য খালাস বন্ধ

বর্ষণে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ চলাচলে ব্যাঘাত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৩ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৪
বর্ষণে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ চলাচলে ব্যাঘাত

চট্টগ্রাম: দমকা হাওয়াসহ টানা বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে জাহাজে পণ্য উঠানামা এবং লাইটারেজ জাহাজ চলাচল পুরোপুরি বন্ধ আছে।

বন্দরের জেটিতে খোলা পণ্যবোঝাই জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ থাকলেও কনটেইনারবাহী জাহাজে উঠানামা স্বাভাবিক আছে।

বন্দরের রেডিও কন্ট্রোল কক্ষ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালের শিফটে চারটি জাহাজের বর্হিনোঙ্গর থেকে জেটিতে নোঙ্গর করার কথা ছিল।
একইভাবে জেটি ছেড়ে দু’টি জাহাজের বর্হিনোঙ্গরে যাবার কথা ছিল। কিন্তু বিরূপ আবহাওয়ার কারণে এসব জাহাজ নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে পারেনি।

চট্টগ্রাম বন্দরের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, সূর্যাস্তের আগে নদীতে জোয়ার থাকলে জাহাজ চলাচল সম্ভব হবে। অন্যথায় জাহাজ জেটি ছাড়তে পারবেনা। বর্হিনোঙ্গর থেকেও জেটিতে আসতে পারবেনা।

লাইটারেজ জাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন সেলের কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার থেকেই বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে মাদার ভ্যাসেল থেকে লাইটারেজ ভ্যাসেলে পণ্য উঠানামা বন্ধ হয়ে আছে। আর সাগর উত্তাল থাকায় নদী থেকে লাইটারেজ জাহাজগুলো সাগরে যেতে পারছেনা।

এর ফলে কর্ণফুলী নদীর বিভিন্ন ঘাটে এবং নদীপথে বিভিন্ন গন্তব্যে পণ্যবোঝাই শতাধিক জাহাজ আটকে আছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন সেলের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, লাইটারেজ জাহাজ চলাচল পুরোপুরি বন্ধ আছে। বর্হিনোঙ্গরেও কোন কাজ হচ্ছেনা। সাগর এতটাই রাফ যে জাহাজ মুভ করা সম্ভব হচ্ছেনা।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২১১ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হওয়ায় এধরণের ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে তিনি জানান।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবাণীতে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত মৌসুমী লঘুচাপের প্রভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এতে ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরসমুহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমুহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে নদী বন্দরগুলোকে ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

সতর্কবার্তায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমুহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৩ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।