চট্টগ্রাম: নগরীর বিভিন্ন পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ যৌথভাবে এ উচ্ছেদ কার্যক্রম চালাচ্ছে।
গত দু’দিন ধরে টানা বর্ষণ চলতে থাকায় শনিবার সকাল ৮টা থেকে উচ্ছেদে নামে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এসএম আব্দুল কাদের জানিয়েছেন, ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসকারীদের সরে যেতে শুক্রবার মাইকিং করা হয়েছিল।
নগর পুলিশের পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার দীপক জ্যোতি খীসা বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে খুলশী থানার লালখান বাজারের মতিঝর্ণা, বাটালি হিল পাহাড়ে একযোগে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। এ অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এসএম আব্দুল কাদের। পুলিশের শতাধিক সদস্য এ উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নিয়েছে বলে তিনি জানান।
অন্যদিকে একই সময়ে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানা এবং আকবর শাহ থানার আকবর শাহ বাজার, রেলওয়ে হাউজিং সোসাইটি, শাপলা আবাসিক এলাকা, বিশ্বকলোনিসহ বিভিন্ন এলাকায় জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (উত্তর) মো.শহীদুল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, অতি বর্ষণের কারণে যে কোন মুহুর্তে পাহাড় ধসের ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ সব পরিবারকে নিরাপদে সরিয়ে না নেয়া পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চলবে।
এর আগে শুক্রবার নগরীর মতিঝর্ণা ও বাটালি হিল এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশ থেকে শতাধিক পরিবারকে সরিয়ে নেয় জেলা প্রশাসন। তাদের টাইগারপাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়।
কিন্তু রাতের আঁধারে অনেক পরিবারই আবারও পাহাড়ে পাদদেশে নিজেদের ঘরে চলে আসেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এজন্য শনিবার উচ্ছেদ অভিযানের সময় পাহাড়ের পাদদেশে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলোও গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
সহকারী পুলিশ কমিশনার দীপক জ্যোতি খীসা বাংলানিউজকে বলেন, ঘরের আসবাব ফেলে তারা কোথাও যেতে চাচ্ছে না। সরিয়ে নেওয়ার পর পুনরায় তারা সেখানে চলে যাচ্ছে। এ অবস্থায় কঠোর হওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই।
এদিকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ের নিচে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরে যেতে নগর পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং অব্যাহত আছে।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এসএম আব্দুল কাদের জানিয়েছেন, ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিংও করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ঘন্টা, জুন ২১, ২০১৪