ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

টানা বর্ষণে জলজট, দুর্ভোগে নগরবাসী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫২ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৪
টানা বর্ষণে জলজট, দুর্ভোগে নগরবাসী ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তায় প্রবল বর্ষণে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের অধিকাংশ এলাকায় জলজটের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যা থেকে টানা বৃষ্টিতে পানি জমে ডুবে গেছে রাস্তা-ঘাট।

অনেক এলাকায় বাসা-বাড়ির নিচতলা  ও দোকানে পানি ঢুকে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী।


বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়া এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে নগরীর অক্সিজেন, হামজার বাগ, মুরাদপুর, আতুরার ডিপো, বহদ্দারহাট, শুলকবহর, কাতালগঞ্জ, নাসিরাবাদ, বায়োজিদ, ২ নম্বর গেট, ষোলশহর, চকবাজার, পাঁচলাইশ, ডিসি রোড, খাজা রোড, চান্দগাঁও, মোহরা, বাকলিয়া, চাক্তাই, রাজাখালি, দেওয়ানবাজার, ডবলমুরিং, আগ্রাবাদ, ছোটপুল, বড়পুল, সিডিএ, হালিশহর, পাহাড়তলী, সরাইপাড়া, সাগরিকা, কাঁচারাস্তার মাথা ও পতেঙ্গার নিম্নাঞ্চল।

এসব এলাকার বিভিন্ন সড়কে পানি ঢুকে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিকল হয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে অনেক যানবাহন। জলজটের কারণে রাস্তায় বাস ট্যাক্সিসহ গণপরিবহণ চলাচল কমে যাওয়ায় কোমর পানি হেটে চলাচল করতে হচ্ছে নগরবাসীকে। তবে, সকাল থেকে পানি কিছুটা নামতে শুরু করেছে।

নগরীর সিডিএ এলাকার বাসিন্দা নুরুল কবির বাংলানিউজকে বলেন,‘বাসায় প্রায় হাটু পরিমাণ পানি। পানি যে বের করবো সে সুযোগ নেই। এ অবস্থা থেকে আমাদের আর পরিত্রান হলো না। ’

বন্দর সূত্র জানায়, বৃষ্টির কারণে বন্দরের বহিনোঙ্গরে খাদ্য পণ্য উঠানামা বিঘ্নিত হলেও অন্যান্য কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, বৃহষ্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৩২৬ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হওয়ায় এধরণের ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবাণীতে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত মৌসুমী লঘুচাপের প্রভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এতে ভূমি ধ্বসের আশঙ্কা রয়েছে।

মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরসমুহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমুহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে নদী বন্দরগুলোকে ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

সতর্কবার্তায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমুহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩১ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad