ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এনসিটি চালু করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৭ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৪
এনসিটি চালু করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: দেশীয় অপারেটর দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) দ্রুত চালুর দাবি জানিয়েছেন বার্থ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন সেলিম। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।



বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
 
এনসিটি পরিচালনার বিষয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি সিদ্ধান্তের সার সংক্ষেপের অনুলিপি হাতে আসার পর তাৎক্ষণিকভাবে বার্থ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র হিসেবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন বার্থ অপারেটর প্রতিষ্ঠান এভারেস্ট এন্টারপ্রাইজের মালিক ও এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম।
সার সংক্ষেপটি তিনি সংবাদকর্মীদের সরবরাহ করেন।

সার সংক্ষেপে এনসিটি চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব যন্ত্রপাতি দিয়ে পরিচালনার প্রস্তাব করা হয়। ২০১৩ সালের ৩ জানুয়ারি ওই সার সংক্ষেপে স্বাক্ষর করে প্রধানমন্ত্রী।

শাহদাত হোসেন সেলিম বলেন, ২০০১ সালে এনসিটি নির্মাণের পর ২০০৬ সালে কাজ শেষ হয়। অথচ এখনও তা চালু হলো না।

তিনি বলেন, শুরুতে বিদেশি অপারেটরদের মধ্য থেকে চারজনকে বাছাই করা হয়। পরে দেশীয় অপারেটরদের সুযোগ দিতে গিয়ে আইনি জটিলতা শুরু হয়। এরপর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি ও বন্দর উপদেষ্টা কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় দেশীয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পাঁচ বছর করে এনসিটি পরিচালনা করবে।

সেলিম বলেন, এ সিদ্ধান্তের আলোকে গত দেড় বছর ধরে যন্ত্রপাতি কেনার চূড়ান্ত পর্যায়ে দরপত্র প্রণয়ণ করা হয়। কিন্তু সংসদীয় কমিটি তাদের প্রথম সভায় সিদ্ধান্ত নেয় চবকের নিজস্ব যন্ত্রপাতি ছাড়াই এনসিটি পরিচালিত হবে।  

তিনি বলেন, এখন এনসিটি পরিচালনা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দরপত্র স্থগিত করা হয়েছে। বিভিন্ন কারণে দীর্ঘসূত্রিতা করে কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। অতি দ্রুত এনসিটি চালু করতে প্রদানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই।

সেলিম বলেন, ৫০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের এনসিটি পাঁচ-সাতশ কোটি টাকার বিনিময়ে বিদেশিদের হাতে দেয়া উচিত হবে না। এতে অসম প্রতিযোগিতা হবে। জবাবদিহিতা-স্বচ্ছতা থাকবে না।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করা হোক। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি সুপারিশ করতে পারে কিন্তু তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।

শাহদাত হোসেন সেলিম বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং নীতিমালায় কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে পরিচালনার দায়িত্ব দেয়ার বিধান নেই। এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হলে তা আন্দোলন ও আইনগতভাবে প্রতিহত করা হবে।

তিনি বলেন, কেউ কেউ গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ কাজের বিনিময়ে ১০ বছরের জন্য এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব নিতে পারে এমন প্রস্তাবের গুঞ্জনও আছে। এ কারণে অর্থমন্ত্রী বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে যন্ত্রপাতি কেনার প্রস্তাব স্থগিত করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, জুন ১৯,২০১৪ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।