ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী চট্টগ্রাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৪
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী চট্টগ্রাম ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক বিশিষ্ট লোকবিজ্ঞানী শামসুজ্জামান খান বলেন, চট্টগ্রাম শুধু বন্দর নগরী কিংবা বাণিজ্যিক রাজধানীই নয়, এটি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানীও। আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ, ড. এনামুল হক, আহমদ শরীফ, আবুল ফজল, আবদুল হক চৌধুরী, সুচরিত চৌধুরীদের মত অসংখ্য জ্ঞানীর জন্মস্থান এ চট্টগ্রাম।

এরকম এত জ্ঞানী আর কোথাও পাওয়া যাবে না।

মঙ্গলবার সকালে নগরীর মুসলিম ইনস্টিটিউটে বাংলা একাডেমি আয়োজিত ছয়দিন ব্যাপী বইয়ের আড়ংয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে বেলুন উড়িয়ে আড়ংয়ের উদ্বোধন করেন একুশে পদক প্রাপ্ত বিশিষ্ট সমাজ বিজ্ঞানী ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক অনুপম সেন।

শামসুজ্জামান খান বলেন, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক অগ্রযাত্রায় চট্টগ্রাম উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর দৃষ্টান্ত রেখেছে। ১৯৩০ এর চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম সোপান।

তিনি বলেন, লেখক-গবেষকরা ঢাকায় বসে বসে জ্ঞান চর্চা করবেন আর প্রান্তিক লোকজন জ্ঞানের স্পর্শও পাবে না, তা তো হয় না। তাই গবেষকদের জ্ঞানের আলো তৃণমূল পর্যন্ত ছড়িয়ে দিতে এ আড়ংয়ের আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মেলা আয়োজনের উদ্দেশ্য শুধু বিক্রি নয়। আঞ্চলিক পর্যায়ে সাংস্কৃতিক লেনদেন এবং সাংস্কৃতিক সম্মেলনের মাধ্যমে এখানকার প্রকাশনা সম্পর্কে জানা ও প্রান্তিক পর্যায়ে বুদ্ধিবৃত্তিক চেতনার স্তর সম্পর্কে ধারণা নেওয়া।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ড. অনুপম সেন বলেন, বই ও সভ্যতা সমার্থক। আধুনিক বিশ্ব সভ্যতা বইয়ের সৃষ্টি। হোমারের ইলিয়াড পড়েই প্রত্মতাত্ত্বিক ট্রয় নগরীর অস্তিত্ব আবিস্কার করেন। আধুনিক জাপানের অগ্রগতির নেপথ্যে অনুবাদ সাহিত্যের বড় অবদান আছে।

এসময় বাংলা একাডেমির বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানান তিনি।

আবৃত্তি শিল্পী আয়েশা হকের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি রাশেদ রউফ, বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক আফজাল হোসেন।

আড়ং উপলক্ষে তিন দিনের আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। প্রথম দিন মঙ্গলবার বিকেল চারটায় ‘চট্টগ্রামে সাহিত্য চর্চা’ শীর্ষক আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন কবি আবুল মোমেন। আলোচনায় অংশ নেন ড. মাহবুবুল হক, ড. মহীবুল আজিজ, অধ্যক্ষ আনোয়ারা আলম ও রাশেদ রউফ।

দ্বিতীয় দিন ১১ জুন বিকেল চারটায় ‘চট্টগ্রামের লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতি’ শীর্ষক আলোচনায় সভাপতিত্ব করবেন সাহিত্যিক ফাহমিদা আমিন। আলোচনায় অংশ নেবেন অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাসেম, ড. মনজুর উল আমিন চৌধুরী, মুহম্মদ ইসহাক চৌধুরী ও আহমদ মমতাজ।

তৃতীয় দিন ১২ জুন বিকেল চারটায় ‘চট্টগ্রামে সাংবাদিকতার বিকাশ’ শীর্ষক আলোচনায় সভাপতিত্ব করবেন অরুণ দাশগুপ্ত। আলোচনায় অংশ নিবেন মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক নাসিরুদ্দিন চৌধুরী, কবি স্বপন দত্ত ও ওমর কায়সার। বইয়ের আড়ং ১০ জুন শুরু হয়ে চলবে ১৫ জুন পর্যন্ত। আড়ংয়ে ৩০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য ছাড়ে বই কিনতে পারবে পাঠকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।