চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরীর বহুল আলোচিত লালখান বাজার মাদ্রাসা থেকে এসিড উদ্ধারের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েরে আমির মুফতি ইজহারুল ইসলাম ও তার ছেলে হারুন ইজহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ২৫ জুন আদেশ দেয়ার দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মুজিবুর রহমানের আদালতে এ শুনানি সম্পন্ন হয়েছে।
মুফতি ইজাহারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার বাংলানিউজকে বলেন, শুনানিতে আমরা বলেছি, এ মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মত কোন উপাদান নেই।
উল্লেখ্য গত বছরের ৭ অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে নগরীর লালখান বাজারে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মুফতি ইজহারুল ইসলাম পরিচালিত জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন ছাত্র আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন ছাত্র মারা যায়।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ল্যাপটপ চার্জার থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করে। তবে পুলিশ ওই কক্ষ তল্লাশি করে চারটি তাজা গ্রেনেড এবং বিপুল পরিমাণ গ্রেনেড তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেন। রাতে মুফতি ইজহারের বাসায় তল্লাশি করে ১৮ বোতল এসিড পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গত ২৮ মে এসিড নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মামলায় মুফতি ইজাহার ও তার ছেলে হারুন ইজাহারকে আসামী করা হয়।
মঙ্গলবার অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় হারুন ইজাহারকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
একই ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে নগরীর খুলশী থানায় বিস্ফোরক আইনে ও খুনের অভিযোগে আরও দুটি মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক আইনের ৩ ও ৪ ধারায় দায়ের হওয়া মামলায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলাটি বর্তমানে বিচারের পর্যায়ে আছে। হত্যা মামলাটি তদন্তাধীন আছে।
মুফতি ইজহার ঘটনার পর থেকেই পলাতক আছেন। মুফতি ইজহার ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের সভাপতি নেজামে ইসলাম পার্টির একাংশের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্বে আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৪