চট্টগ্রাম: রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী কেমিস্ট পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় সোমবার তদন্ত প্রতিবেদনের সাক্ষী ও রেল কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তার আংশিক জেরাও সম্পন্ন হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ এস এম আতাউর রহমানের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের পিপি অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনের সাক্ষী হিসেবে মোফাজ্জল হোসেন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
সহকারী কেমিস্ট পদের মামলায় আগামী ১৯ জুলাই এবং একইসঙ্গে চলা ফুয়েল চেকার পদের মামলায় ১৮ জুলাই আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করেছেন বলে তিনি জানান।
সহকারী কেমিস্ট পদে আসামীরা হলেন, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বরখাস্ত হওয়া মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধা, সাবেক সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান এবং অবৈধভাবে নিয়োগের অপেক্ষায় থাকা দু’প্রার্থী সুলতানা বেগম ও গণেশ চন্দ্র শীল।
মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের সময় তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
সহকারী কেমিস্ট পদে নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগে ২০১২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর কোতয়ালী থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের হয়। ২০১৩ সালের ১৮ আগস্ট পাঁচজনকে আসামী করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
উল্লেখ্য ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল সুরঞ্জিতের এপিএসের গাড়িতে ৭০ লাখ টাকা পায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জওয়ানরা। এ সময় ওই গাড়িতে অভিযুক্ত ওই দু’জন ছাড়াও রেলের নিরাপত্তা বাহিনীর ঢাকা বিভাগীয় কমান্ড্যান্ট এনামুল হকও ছিলেন। সে রাতে ফারুকের গাড়ি চালক আলী আজম বিজিবি দফতরে টাকাসহ গাড়িটি ঢুকিয়ে দেন। ঘটনার পরদিন থেকে আলী আজম ‘রহস্যজনকভাবে’ নিখোঁজ আছেন।
পরে ওই ঘটনার জেরে রেলমন্ত্রীর পদ ছাড়েন সুরঞ্জিত। বরখাস্ত হন ফারুক এবং সাময়িক বরখাস্ত হন মৃধা ও এনামুল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৪
