ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হিমু হত্যা মামলায় ইসমাইলের জেরা অব্যাহত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৭ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০১৪
হিমু হত্যা মামলায় ইসমাইলের জেরা অব্যাহত মেধাবী ছাত্র হিমু

চট্টগ্রাম: কুকুর লেলিয়ে দিয়ে মেধাবী ছাত্র হিমু হত্যা মামলায় চতুর্থ সাক্ষী ইসমাইল হোসেনকে জেরা অব্যাহত রেখেছেন আসামী শাওনের পক্ষে তার আইনজীবী। মঙ্গলবার দিনভর জেরা শেষে আদালত বুধবার পর্যন্ত এ মামলার কার্যক্রম মূলতবি করেছেন।

 

চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সহীদুল ইসলামের আদালতে এ মামলার কার্যক্রম চলছে।

গত ২০ এপ্রিল মাদকবিরোধী সংগঠন ‘শিকড়’র সভাপতি ইসমাইল হোসেন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
নৃশংস খুনের শিকার হিমুও একই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।  

রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলী ও অতিরিক্ত মহানগর পিপি অনুপম চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, ইসমাইল হোসেন ঘটনার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী। তাকে একজন আসামীর আইনজীবী জেরা শেষ করেছেন। আরেকজন আসামীর পক্ষে জেরা শুরু চলছে।

চাঞ্চল্যকর এ মামলায় বাদিসহ এ পর্যন্ত তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

উল্লেখ্য ২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল নগরীর পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ‘ফরহাদ ম্যানশন’ নামের ১০১ নম্বর বাড়ির চারতলায় হিমুকে হিংস্র কুকুর লেলিয়ে দিয়ে নিমর্মভাবে নির্যাতন করে সেখান থেকে ফেলে দেয় অভিজাত পরিবারের কয়েকজন বখাটে যুবক।  

গুরুতর আহত হিমু ২৬ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ২৩ মে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। হিমু পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ইংরেজি মাধ্যমের সামারফিল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের ‘এ’ লেভেলের শিক্ষার্থী ছিল।

এ ঘটনায় হিমুর মামা শ্রীপ্রকাশ দাশ অসিত বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় পাঁচজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্ত পাঁচ আসামি হলেন, জাহিদুর রহমান শাওন, জুনায়েদ আহমেদ রিয়াদ এবং তার বাবা শাহ সেলিম টিপু, শাহাদাত হোসেন সাজু ও মাহবুব আলী ড্যানি।

২০১২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পাঁচলাইশ থানা পুলিশ ওই মামলায় এজাহারভুক্ত পাঁচজন আসামীকে অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।