ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইভ টিজিং থেকে খুন, সব অপরাধেই পারদর্শী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৩ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০১৪
ইভ টিজিং থেকে খুন, সব অপরাধেই পারদর্শী ফরিদুল ইসলাম ওরফে ফরিদ্যা

চট্টগ্রাম: চাঁদাবাজি থেকে অপহরণ, ইভ টিজিং থেকে খুনসহ সব ধরনের অপরাধকর্মে পারদর্শী ফরিদুল ইসলাম ওরফে ফরিদ্যা (৪০)। একের পর এক অপরাধের সঙ্গে জড়িত হয়ে নগর পুলিশের শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায় নিজের ‍নামও লেখায় ফরিদুল।



‌দীর্ঘদিন ‘যুবলীগের কর্মী’ পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অপরাধের পর সম্প্রতি নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভূয়া পরিচয় দিয়ে অপরাধ করে বেড়াচ্ছিল ফরিদুল। তবে এবার আর পার পেতে পারেনি সে।
সোমবার গভীর রাতে চকবাজারের ডিসি রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার বাবুল আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, ভাড়াটে অস্ত্রধারী, ভুয়া ডিবি পুলিশ, ভূমিদস্যু, ইট-বালু ব্যবসায়ী পরিচয়ে চাঁদাবাজি, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, গার্মেণ্টসের নারী কর্মীদের উত্যক্ত করাসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের অভিযোগ আমরা ফরিদুলের বিরুদ্ধে পেয়েছি। পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য খুঁজছিল।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারের পর নগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে ফরিদুলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, ফরিদুল বাকলিয়া থানার ডিসি রোড এলাকার জনৈক নূরুল ইসলামের ছেলে। চার ভাই-বোনের মধ্যে সে তৃতীয়। বিবাহিত ফরিদুল দু’সন্তানের জনক। লেখাপড়ার দৌঁড় পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত।

বেশ কিছুদিন সে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্কশপে চাকুরি করেছিল। ১৯৯৬ সাল থেকে রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ে তার অপরাধমূলক কর্মকান্ড শুরু হয়। সিএমপির শীর্ষ সন্ত্রসী হিসাবে তালিকাভ‍ুক্ত হওয়ার পর প্রায় ৬ বছর বিদেশে আত্মগোপনে ছিল ফরিদুল। পরবর্তীতে দেশে এসে নাম পাল্টে ভূয়া আইডি কার্ড তৈরী করে।

এক পর্যায়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় এক বছর কারাভোগ করে। জামিনে বের হয়ে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে অপরাধ কর্মকান্ড শুরু করে ফরিদুল। এছাড়া নগরীর চকবাজার ডিসি রোড এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ফয়সাল, কালু, বাদশা, জানে আলমসহ ১০-১৫ জনকে নিয়ে নিজস্ব একটি বাহিনী গড়ে তুলে ফরিদুল। যুবলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে এবং ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে তারা অপরাধ কর্মকান্ড করে বেড়াত।

সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরুর পর ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত গত ১৮ বছরে  তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৭ টি মাামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ৩টি খুন, ২টি অস্ত্র, ১টি বিষ্ফোরক, ১টি ডাকাতি, ২টি ছিনতাই, ৩টি চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে আরও ০৫ টি মামলা আছে।  

সূত্র জানায়, ফরিদুলকে বাকলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে বুধবার আদালতে হাজির করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।