ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মূলত পকেটমার, সুযোগে ছিনতাইকারী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৪ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০১৪
মূলত পকেটমার, সুযোগে ছিনতাইকারী ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: ওর‍া ছয়জন। তারা মূলত পকেটমার।

সুযোগ পেলে আবার ছিনতাইও করে। রেলস্টেশন, মার্কেটসহ বিভিন্ন জনাকীর্ণ স্থান ওদের অপরাধের কেন্দ্রস্থল।


মঙ্গলবার বিকেলে চক্রটি চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে এক পুলিশ কনস্টেবলের মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে নগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম রেলস্টেশনসহ আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাতজনকে আটক করে। তাদের কাছে একটি ছোরা পাওয়া গেছে।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বাবুল আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, চমক লাগানো সব কৌশলে তারা পকেটমার কিংবা ছিনতাই করে। কখনও জনতার হাতে ধরা পড়লে কিংবা ধরা পড়ার সুযোগ তৈরি হলে তারা তাদের যে কোন এক সদস্যের পকেট কেটেছে বলে একযোগে চিৎকার শুরু করে দেয়। এতে পুরো ঘটনা ভিন্নখাতে চলে গিয়ে নিজেরা দায়মুক্ত হয়।

আটক ছয়জনকে নগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে বাবুল আক্তার জানান।

আটক ছয়জন হল, পকেটমারদের দলনেতা শাহাবুদ্দীন (২৫), আনোয়ার(২০), বাদশা(২২), শাহীন(১৮), সুমন(১৮) এবং রুবেল(১৭)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবান জেলায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল সাদেকুর রহমান ছুটিতে নিজ বাড়ী গাইবান্ধা জেলায় যাওয়ার জন্য মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে টিকেটের জন্য যান। কিন্তু টিকেট না পেয়ে ফিরে আসার সময় স্টেশনের পশ্চিম দিকের গেইট দিয়ে বের হলে দু’জন পকেটমার তাকে টিকেট বিক্রির কথা বলে একপাশে নিয়ে যান।

আড়ালে যাবার পর অতর্কিতভাবে আরও দু’জন পকেটমার এসে ছোরা দিয়ে তাকে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে মোবাইল ও মানিব্যাগ নিয়ে যায়। পালিয়ে যাবার সময় তার চিৎকারে ডিবি পুলিশের একটি টহল টিম ৬ পকেটমারকে ছোরাসহ আটক করে।

সূত্র ‍জানায়, আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, তাদের দলনেতা শাহাবউদ্দিন প্রায় সাত বছর ধরে পকেটমার ও ছিনতাইয়ের কাজে জড়িত।   চার মাস আগে গ্রেপ্তার হয়ে সে গত ৩০ এপ্রিল জামিনে বের হয়।

পকেটমারদের প্রত্যেকের আলাদা আলাদা দায়িত্ব আছে। যাকে পকেটমার হিসেবে টার্গেট করা হয় তাকে ‘টুটু’ নামে ডাকে পকেটমারেরা। নির্জন রাস্তায় কিংবা ভিড়ের মধ্যে পকেটমার সুযোগ বুঝে পকেট কেটে মোবাইল, টাকাপয়সা নিয়ে নেয়। যে মূল কাজ করবে তাকে ডাকা হয় পিচ্চি নামে। পিচ্চি কাজ শেষে দ্রুত সরে পড়বে।

এসময় যদি কেউ ধরা পড়ে যায়, তবে একজন আরেকজনকে না চেনার ভান করে। আবার যিনি পকেটমারের শিকার হন তিনি কোন প্রতিবাদ করলে দলের সদস্যরা একজোট হয়ে এসে তাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা শুরু করে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ আনে।    

আটক ৬ জনকে নগরীর কোতয়ালী থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার বাবুল আক্তার।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ঘণ্টা, জুন ০৩,২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।