চট্টগ্রাম: শিক্ষক-চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলনে সৃষ্ট অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারেনি নগরীর বেসরকারি চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়।
সোমবার লাগাতার আন্দোলনের দ্বাদশ দিনও বিশ্ববিদ্যালয়ে চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছে শিক্ষক-চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিভিন্ন দাবিতে একইসঙ্গে আন্দোলন করছেন।
অবরোধ চলাকালে সড়কের উপর টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে তারা। এসময় ব্যস্ত এ সড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা।
এদিকে, দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাওলানা ভাসানী অডিটোরিয়ামে আন্দোলনকারীদের এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরী সিন্ডিকেটে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, উস্কানিমূলক ও বিভ্রান্তিকর। দুর্নীতিবাজ ট্রাস্টি বোর্ড চেয়ারম্যানের আজ্ঞাবহ সিন্ডিকেট সদস্যরা বৈঠকে অচলাবস্থা নিরসনের বদলে সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে তুলেছেন। সভায় বিশ্ববিদ্যালয় স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে প্রকারন্তরে বিশ্ববিদ্যালয়কে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম ইছ্হাক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সম্বনয় পরিষদের সদস্য সচিব আনোয়ারুল ইসলাম বাপ্পীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়েল অধিভুক্ত বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালের মহা-পরিচালক বিগ্রে. জেনারেল (অব) ডা. শওকত আলী, মেডিসিন ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক ডা. মোকাদ্দেস আক্তার বেগম, আইসিইউ এর প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান, সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সিন্ডিকেট মেম্বার ডা. বদিউল আলম, প্রফেসর ডা. দিদারুল আলম, প্রফেসর সৈয়দ শহীদুল্লাহ চৌধুরী, ফার্মেসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. কিশোর মজুমদার, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাহবুবুল আলম, সহযোগী অধ্যাপক ডা. এস কে মোকাম্মদ আলী, সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক সহকারী অধ্যাপক ডা. কামাল উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হক, এফএসইটি’র ভারপ্রাপ্ত ডিন মো. রেজুয়ান করিম, সহকারী অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ, সহকারী অধ্যাপক ডা. সুলতানা রুমা আলম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, জুন ২, ২০১৪