চট্টগ্রাম: জামায়াতের বিচার নিয়ে আইনমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ। যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামায়াত এবং এর নেতাদের বিচারে সরকােরর সাম্প্রতিক অবস্থানে অসন্তোষ প্রকাশ করে গণজাগরণ মঞ্চের নেতারা সরকারকে যে কোন ধরনের কূটকৌশল পরিহারের আহ্বান জানিয়েছেন।
আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে নগরীর চেরাগি চত্বর থেকে মিছিল বের করে গণজাগরণ মঞ্চ। মিছিলটি নগরীর মোমিন রোড, আন্দরকিল্লা হয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে আবারও চেরাগি চত্বরে এসে শেষ হয়।
সেখানে গণজাগরণ মঞ্চ, চট্টগ্রামের সদস্য সচিব শরীফ চৌহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সভাপতি রাশেদ হাসান, উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের যুগ্ম সম্পাদক জয় সেন, যুবে মৈত্রীর চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কায়সার আলম, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি সুজন বৈঞ্চব, জেলা ছাত্রফ্রণ্টের সভাপতি পার্থ প্রতীম, সাবেক ছাত্রনেতা ইসমাইল আজাদ শাকিল, সংস্কৃতি কর্মী শিমুল দত্ত।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণা, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে বিশ্বাস করি, আমরা সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরুর পর আশ্বস্ত হয়েছিলাম। একাত্তরের ঘাতকদের একের পর এক ফাঁসির রায় আমাদের আশান্বিত করেছিল। খুনী-রাজাকারদের দল জামায়াতের বিচারের জন্য যখন তদন্ত শুরু হয়েছিল তখন আমরা আশায় বুক বেঁধেছিলাম।
বক্তারা বলেন, দেশের মানুষের বহু আকাঙ্খিত যুদ্ধাপরাধীর বিচার যেন এখন এক কূটকৌশলের খপ্পড়ে পড়েছে। নিজামী, সাঈদীর রায় ঘোষিত না হওয়া, জামায়াতের বিচার নিয়ে আইনমন্ত্রীর বক্তব্য দেশের মানুষকে হতাশ করেছে। আমরা যেন আবারও অন্ধকার যুগে ফিরে যাচ্ছি। রাজাকারমুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন যেন আবারও সুদূরপরাহত হয়ে যাচ্ছে।
তারা বলেন, আমরা সরকারকে বলতে চাই, জামায়াতের বিচার নিয়ে কোন মারপ্যাচ এদেশের মানুষ মেনে নেবেনা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে কোন তালবাহানা শুধু সরকারের জন্য নয়, দেশের জন্যও বিপদ ডেকে আনবে। রাজাকাররা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারলে তারা আবারও এদেশকে পাকিস্তান বানিয়ে ছাড়বে।
বক্তারা জামায়াতের বিচার নিয়ে কালক্ষেপণ বন্ধ করে অবিলম্বে বিচার শুরু এবং যুদ্ধাপরাধীদের অসমাপ্ত বিচারকাজ শেষ করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, মে ৩০,২০১৪