চট্টগ্রাম: রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ফুয়েল চেকার পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় বুধবার তিন সাক্ষীকে জেরা করেছেন আসামীপক্ষের আইনজীবী।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ এস এম আতাউর রহমানের আদালতে এ মামলার কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার যাদের জেরা হয়েছে তারা হলেন, জব্দ তালিকার তিন সাক্ষী ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের কর্মকর্তা শামসুজ্জামান, আলাউদ্দিন ও এস এম আবদুল্লাহ।
দুর্নীতি দমন কমিশনের পিপি অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, যাদের জেরা হয়েছে তারা সবাই জব্দ তালিকার সাক্ষী।
মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের সময় আলোচিত আসামী রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধা, সাবেক সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া এবং সাবেক অতিরিক্ত প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী হাফিজুর রহমানসহ পাঁচজনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
ফুয়েল চেকার পদে নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগে ২০১২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। ২০১৩ সালের ১৮ আগস্ট পাঁচজনকে আসামী করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
ফুয়েল চেকার পদে অভিযুক্তরা হলেন, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বরখাস্ত হওয়া মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধা, সাবেক সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান এবং অবৈধভাবে নিয়োগের অপেক্ষায় থাকা দু’প্রার্থী আবুল কাশেম ও আনিসুর রহমান।
উল্লেখ্য ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল সুরঞ্জিতের এপিএসের গাড়িতে ৭০ লাখ টাকা পায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জওয়ানরা। এ সময় ওই গাড়িতে অভিযুক্ত ওই দু’জন ছাড়াও রেলের নিরাপত্তা বাহিনীর ঢাকা বিভাগীয় কমান্ড্যান্ট এনামুল হকও ছিলেন। সে রাতে ফারুকের গাড়ি চালক আলী আজম বিজিবি দফতরে টাকাসহ গাড়িটি ঢুকিয়ে দেন। ঘটনার পরদিন থেকে আলী আজম ‘রহস্যজনকভাবে’ নিখোঁজ আছেন। ৎ
পরে ওই ঘটনার জেরে রেলমন্ত্রীর পদ ছাড়েন সুরঞ্জিত। বরখাস্ত হন ফারুক এবং সাময়িক বরখাস্ত হন মৃধা ও এনামুল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৪