চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের দোকান বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলায় আওয়ামী লীগের ছয় নেতাকর্মী আদালতে আত্মসমর্পণের পর জামিন পেয়েছেন। তারা সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মুজিবুর রহমান তাদের অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছেন। একই মামলায় মহিউদ্দিন গত ১৬ এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।
জামিন পাওয়া অভিযুক্তরা হলেন, নগরীর শুলকবহর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সোহরাওয়ার্দ্দী, মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী নাজনিন সুলতানা, মহিউদ্দিনের ঘনিষ্ঠ আওয়ামী লীগ সমর্থক চার ব্যবসায়ী এ এম মাইনুল হক, এরশাদুল হক, দিদারুল ইসলাম ও নেজামুল হক।
আসামীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রণি কুমার দে বাংলানিউজকে বলেন, হাইকোর্ট থেকে রিট পিটিশনমূলে মামলার কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। হাইকোর্ট থেকে আসামীরা সবাই জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এজন্য আজ (বুধবার) ৬ আসামী আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের আগামী ধার্য তারিখ পর্যন্ত জামিন নিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নগরীর মুরাদপুর জংশনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্মিত ২৩টি দোকান ১৯৯৭ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে বরাদ্দ দেয়া হয়।
টেন্ডার ছাড়া দোকানগুলো বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগে ২০০২ সালের ১৩ অক্টোবর নগরীর কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। দুদকের তৎকালীন পরিদর্শক শামসুল আলম বাদি হয়ে কোতয়ালী থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় তৎকালীন মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ ২৪ জনকে আসামী করা হয়। বুধবার জামিন নেয়া ৬ আসামীর প্রত্যেকে সেখানে দোকান বরাদ্দ পান।
২০০৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি দুদকের তৎকালীন পরিদর্শক (বর্তমানে উপ পরিচালক) জাহাঙ্গীর আলম তদন্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মহিউদ্দিনের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ২০০৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ দেন।
২০১২ সালের ৬ ডিসেম্বর রিট পিটিশন সংক্রান্ত রুল খারিজ করে দিয়ে মামলার কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত নোটিশ দুদকে পাঠানো হয় ২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল। এর ফলে মামলাটি বর্তমানে আবারও সচল হয়েছে।
এর আগে মহিউদ্দিনসহ ৯ আসামী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৪