চট্টগ্রাম: র্যাব পরিচয়ে ব্যবসায়ীকে তুলে নেয়ার চেষ্টার ঘটনায় আটক সাবেক সেনা কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত মেজর আরিফ আহমেদকে (৪৬) কারাগারে পাঠিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।
গ্রেপ্তারের ৭ দিন পর রোববার আরিফ আহমেদকে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম ফরিদ আলমের আদালতে হাজির করে পুলিশ।
অন্যদিকে অপহরণ মামলার বাদির পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী জামিনের বিরোধিতা করেন।
অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আসামীপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে বলেছেন মেজর আরিফ মানসিক ভারসাম্যহীন। কিন্তু তারা চিকিৎসকের কোন প্রমাণপত্র দেখাতে পারেননি। আমরা বলেছি, মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষের বাইরে থাকাটাও বিপদজনক। সেজন্য তাকে কারাগারে পাঠানো হোক। শুনানি শেষে আদালত আরিফকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত ১৮ মে রাত পৌনে ১০টার দিকে নগরীর ডবলমুরিং থানার চৌমুহনী এলাকায় র্যাব পরিচয়ে গোলাম রাব্বানী মুন নামে ব্যবসায়ীকে অপহরণের চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। তাকে সিলভার রংয়ের একটি প্রাইভেট কারে করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা।
এসময় ওই ব্যবসায়ী চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসে। প্রাইভেটকারে করে অন্যরা পালিয়ে গেলেও আরিফ আহমেদকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
আরিফ আহমদের বাসা নগরীর হালিশহর আবাসিক এলাকায়। আটকের পর আরিফ নিজেকে সেনা কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেন।
অপহরণের চেষ্টার ঘটনায় ব্যবসায়ী গোলাম রাব্বানি মুন বাদি হয়ে ডবলমুরিং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আরিফ আহমেদসহ ৫-৬ জনকে আসামী করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৪