চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরীতে র্যাব পরিচয়ে ব্যবসায়ীকে তুলে নেয়ার চেষ্টার ঘটনায় আটক সাবেক সেনা কর্মকর্তা আরিফ আহমেদ (৪৬) ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাকে পুলিশ প্রহরায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশের ধারণা, মানসিক ভারসাম্যহীন সাবেক সেনা কর্মকর্তা আরিফ আহমেদকে ব্যবহার করে একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে অপহরণের ঘটনা ঘটাচ্ছিল।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (পশ্চিম) এস এম তানভির আরাফাত বাংলানিউজকে বলেন, আরিফ আহমেদ সেনাবাহিনীর মেজর পদমর্যাদার কর্মকর্তা ছিলেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, আরিফ আহমেদের স্ত্রী চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তা। রোববার রাতে আরিফকে গ্রেপ্তারের পর তিনি থানায় গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। আরিফের স্ত্রীর কাছ থেকে পুলিশ নিশ্চিত হয়, তিনি সেনাবাহিনীর মেজর পদমর্যাদার কর্মকর্তা ছিলেন। মাদকাসক্ত এবং মানসিক ভারসাম্যহীন থাকায় ২০০৮ সালে তাকে অবসর দেয়া হয়।
রোববার সারাদিন নিখোঁজ অবস্থায় ছিলেন আরিফ আহমেদ। ওইদিন তাকে নগরীর একটি ক্লিনিকে ভর্তি করানোর কথা ছিল। রাতে তার পরিবার জানতে পারে, আরিফ অপহরণ করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছে।
ডবলমুরিং থানার ওসি কাজী মতিউল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আরিফ আহমেদের কথাবার্তায় বুঝতে পেরেছি তিনি অসুস্থ। তিনি সবসময় অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন। সকালে তিনি শারিরীকভাবে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা তাকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠিয়ে দিই।
এদিকে অপহরণের চেষ্টার ঘটনায় ব্যবসায়ী গোলাম রাব্বানি মুন বাদি হয়ে ডবলমুরিং থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আরিফ আহমেদসহ ৫-৬ জনকে আসামী করা হয়েছে।
ওসি জানান, আরিফ আহমেদকে গ্রেপ্তার এবং মামলা দায়েরের বিষয়ে আদালতে ফরোয়ার্ডিং পাঠানো হয়েছে। সুস্থ হলে তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
এর আগে রোববার রাত পৌনে ১০টার দিকে নগরীর ডবলমুরিং থানার চৌমুহনী এলাকায় র্যাব পরিচয়ে গোলাম রাব্বানী মুন নামে ব্যবসায়ীকে অপহরণের চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। তাকে একটি সাদা প্রাইভেট কারে করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এসময় ওই ব্যবসায়ী চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসে। প্রাইভেটকারে করে অন্যরা পালিয়ে গেলেও আরিফ আহমেদকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
আরিফ আহমদের বাসা নগরীর হালিশহর আবাসিক এলাকায়। আটকের পর আরিফ নিজেকে সেনা কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৪