ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চসিকের দোকান বরাদ্দে অনিয়ম

আত্মসমর্পণের পর জামিন পেলেন ৮ অভিযুক্ত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৯ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৪
আত্মসমর্পণের পর জামিন পেলেন ৮ অভিযুক্ত

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের দোকান বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলায় আট আসামী আদালতে আত্মসমর্পণের পর জামিন পেয়েছেন। তারা সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।



সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মুজিবুর রহমান তাদের অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছেন। একই মামলায় মহিউদ্দিন গত ১৬ এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।


জামিন পাওয়া অভিযুক্তরা হলেন, নগর শ্রমিক লীগের সভাপতি বখতেয়ার উদ্দিন খান, মুক্তিযোদ্ধা মো.ইউনূস, ব্যবসায়ী রেজাউল করিম চৌধুরী ও খোরশেদ আলম চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলমের ছেলে মোবারকউল্লাহ, নগর আওয়ামী লীগের উপ প্রচার সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর শহীদুল আলমের স্ত্রী আনজুমান আরা বেগম, শ্রমিক লীগের নেতা মাহবুব মিন্টু এবং নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মাহতাব উদ্দিনের ছেলে ইশতিয়াক আহমেদ চৌধুরী সাজীব।

আসামীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রণি কুমার দে বাংলানিউজকে বলেন, হাইকোর্ট থেকে রিট পিটিশনমূলে মামলার কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। হাইকোর্ট থেকে আসামীরা সবাই জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এজন্য আজ (সোমবার) ৮ আসামী আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, নগরীর মুরাদপুর জংশনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্মিত ২৩টি দোকান ১৯৯৭ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে বরাদ্দ দেয়া হয়।

টেন্ডার ছাড়া দোকানগুলো বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগে ২০০২ সালের ১৩ অক্টোবর নগরীর কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। দুদকের তৎকালীন পরিদর্শক শামসুল আলম বাদি হয়ে কোতয়ালী থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় তৎকালীন মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ ২৪ জনকে আসামী করা হয়। সোমবার জামিন নেয়া ৮ আসামীর প্রত্যেকে সেখানে দোকান বরাদ্দ পান।

২০০৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি দুদকের তৎকালীন পরিদর্শক (বর্তমানে উপ পরিচালক) জাহাঙ্গীর আলম তদন্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মহিউদ্দিনের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ২০০৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ দেন।

২০১২ সালের ৬ ডিসেম্বর রিট পিটিশন সংক্রান্ত রুল খারিজ করে দিয়ে মামলার কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত নোটিশ দুদকে পাঠানো হয় ২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল। এর ফলে মামলাটি বর্তমানে আবারও সচল হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।