ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শামসুলসহ জামায়াত নেতাদের কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৮ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৪
শামসুলসহ জামায়াত নেতাদের কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির ও সাবেক সাংসদ আ ন ম শামসুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি নজরুল ইসলামসহ গ্রেপ্তার হওয়া ২১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে তাদের কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।



এছাড়া আদালত আসামীপক্ষের আইনজীবীদের জামিনের আবেদনও নামঞ্জুর করে দিয়েছেন।  

রোববার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম রহমত আলী এসব আদেশ দিয়েছেন।


নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মুহাম্মদ রেজাউল মাসুদ বাংলানিউজকে বলেন, সাবেক সাংসদ শামসুল ইসলামসহ ২১ জনের রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রিমান্ড আবেদনের শুনানির সময় গ্রেপ্তার হওয়া জামায়াত নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৩ মে বিকেলে নগরীর দেওয়ানবাজার এলাকায় জামায়াতের কার্যালয়ে এক বৈঠক থেকে ২১ জনকে আটক করা হয়। এসময় তল্লাশি চালিয়ে বেশকিছু বিস্ফোরকও উদ্ধার করা হয়।

আটক হওয়া ২১ জনের মধ্যে আছেন, নগর জামায়াতের আমির আ ন ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক আ জ ম ওবায়দুল্লাহ, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড.হাবিবুর রহমান, দক্ষিণ জেলা জামায়াত কার্যালয়ের কর্মচারী মো.মাঈনুদ্দিন ও নগর জামায়াতের কার্যালয়ের কর্মচারী আবু বক্কর সিদ্দিক, চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মচারী আব্দুল হাকিম, বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণাগারের (বিসিএসআইআর) কর্মচারী এবিএম মনিরুজ্জামান, জামায়াত কার্যালয়ের মসজিদের মুয়াজ্জিন মো.সেলিম উদ্দিন, নগর জামায়াতের সদস্য জাকির হোসেন, ডা.সৈয়দ মো.আলম, আইয়ূব আলী ও আব্দুল মতিন, পতেঙ্গা ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল মোতালেব, ইসলামিয়া একাডেমির কর্মচারী সিদ্দিকুর রহমান, দেওয়ানবাজার ওয়ার্ড জামায়াতের প্রচার সম্পাদক শাহ আলম, দেওয়ানবাজার মসজিদের খাদেম ইব্রাহিম এবং জামায়াতের সক্রিয় সদস্য তৌহিদুল আলম, আবুল হাশেম ও ফারুক আজম।

জামায়াত কার্যালয় থেকে উদ্ধার করা বিস্ফোরকের মধ্যে আছে, দেড় কেজি পটাশ, দুই লিটার পেট্রল এবং বেশ কয়েকটি বোতল।

ওইদিন গভীর রাতে কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) ইমাম হোসেন বাদি হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬ এর ১ (ক) ধারায় আটক ২১ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ২১ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই রফিকুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ঘণ্টা, মে ১৮,২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।