ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কনটেইনার খুলে কাপড় আত্মসাত

চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক ৮ কর্মচারীর জামিন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৯ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১৪
চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক ৮ কর্মচারীর জামিন

চট্টগ্রাম: আমদানি কনটেইনার থেকে কাপড় আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা একটি মামলায় চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক ৮ কর্মচারীকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

৩০ এপ্রিল বন্দরের সাবেক ১৫ কর্মচারী আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন।

এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

মঙ্গলবার ৮ কর্মচারীর পক্ষে চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম মো.মশিউর রহমানের আদালতে জামিনের আবেদন জানান তাদের আইনজীবীরা।
শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

চট্টগ্রাম আদালতের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা (জিআরও) মো.হায়দার আটজনের জামিনের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন। তবে দুদকের আইনজীবীরা জামিনের বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেছেন।

দুদকের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক মাহমুদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সিএমএম আদালতে কোন ধরনের জামিন শুনানিতে অংশ নেননি বলে জানান। বন্দরের সাবেক কর্মচারীদের জামিন শুনানিতে বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন অংশ নিয়েছেন বলে তিনি জানান।

বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের পিপি মেজবাহ উদ্দিনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি দুদকের দায়ের করা মামলা। মামলাটি এখনও সিএমএম আদালতেই আছে। সেটি শুনানির এখতিয়ার একমাত্র দুদকের পিপি’র। আমি এ ধরনের কোন শুনানিতে অংশ নিইনি।

দুদকের জিআরও মো.হায়দার বাংলানিউজকে জানান, জামিন শুনানিতে অংশ নিয়েছেন দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক মাহমুদ।

বন্দরের অভিযুক্ত ১৫ সাবেক কর্মচারী হলেন, সাবেক উচ্চমান সহকারী হুমায়ন কবির, অধীর কান্তি চক্রবর্তী, প্রদীপ কুমার মহাজন, মোস্তাফিজুর রহমান ও শ্যামল কুমার ভৌমিক, সাবেক নিম্নমান বহি:সহকারী মো.আতিকুর রহমান, সাবেক সহকারী ট্রাফিক পরিদর্শক সালেহ জহুর, সাবেক নিরাপত্তারক্ষী সিরাজুল হক মোল্লা, আলী আজম চৌধুরী, মনির আহমেদ, কামালউদ্দিন চৌধুরী, নজরুল ইসলাম ও ছগির আহমেদ এবং নিরাপত্তা বিভাগের সাবেক এএসআই হারুন চৌধুরী ও মিজানুর রহমান।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের ১৭ জন সাবেক কর্মচারীর বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি নগরীর বন্দর থানায় দুদকের উপ সহকারী পরিচালক সিরাজুল হক বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামীরা পরস্পরের যোগসাজশে ২০০০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ এপ্রিলের মধ্যে বন্দরের এক নম্বর ইয়ার্ডে কনটেইনার খুলে ১০০ বেল তৈরি পোশাকের মধ্যে ৯০ বেল পোশাক চুরি করে আত্মসাৎ করেন। মামলাটি এখনও তদন্তের পর্যায়ে আছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, মে ০৬,২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।