ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রেলের শতবর্ষী বৃক্ষ নিধন

দশ দিনেও তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারেনি কমিটি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৮ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১৪
দশ দিনেও তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারেনি কমিটি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: রেলের গাছ কাটার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হলেও ১০দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও প্রতিবেদন দিতে পারেনি কমিটি।

গত রোববার রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ঢাকায় অবস্থান করার কারণে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারছেন না বলেও জানালেও কমিটির আহ্বায়ক মঙ্গলবার বললেন ভিন্ন কথা।



তিন সদস্যের এ কমিটির প্রধান রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ তরুণ কান্তি বালা বাংলানিউজকে বলেন,‘আমাদের কমিটির একজন সদস্য হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাওয়াতে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে পারছি না। ’

এদিকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপকের তদারকি না থাকায় ১০দিনেও এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
 

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলেরর একাধিক কর্মকর্তার অভিযোগ, রেলের গাছ কাটার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি কেন প্রতিবেদন জমা দিচ্ছেন না সে বিষয়ে কোন খবরই নেননি জিএম।

সূত্র জানায়, ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এবং জড়িতদের বাদ দিয়ে নিরিহ লোকদের ঘটনায় জড়াতেই তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না।

গত ২৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম নগরীর টাইগারপাস থেকে পাহাড়তলী পুলিশ বিট পর্যন্ত রেলওয়ের মালিকানাধীন সড়ক থেকে গাছ কেটে নিয়ে যায় দুবৃত্তরা। সড়ক এবং গাছের মালিক রেলওয়ে হলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না।

বিষয়টি গণমাধ্যমে উঠে এলে সমালোচনায় পড়েন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এরপর ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করা হয়। ঘটনার দিন রাতে নগরীর খুলশী থানায় দায়ের করা হয় মামলা।

পরদিন রোববার পূর্বাঞ্চলের জিএম কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে গঠন করা হয় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ তরুণ কান্তি বালাকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়। বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো.জসিম উদ্দিন ও রেলওয়ে পুলিশের কমান্ডেন্ট আব্দুর রাজ্জাক কমিটির সদস্য।  

বাংলাদেশ সময়:১৮৫৮ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।