চট্টগ্রাম: রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের টুল কিপার পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন নেয়া চার আসামীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ এস এম মুজিবুর রহমান তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামীরা হলেন, এস এম আজিজুল হক, এএসএম সাইদুর রহমান, রবিউল হাসান এবং আশরাফুল ইসলাম। এদের টুল কিপার পদে নিয়োগের জন্য অনিয়মের মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হয়েছিল।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, আসামীরা মিথ্যা তথ্য দিয়ে হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের জামিন নিয়েছিলেন। হাইকোর্টকে তারা জানিয়েছিলেন, মামলাটি সিএমএম আদালতে আছে, এর অভিযোগপত্র হয়নি। বাস্তবে তারা যখন হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন তখন মামলার অভিযোগপত্র দাখিল হয়ে অভিযোগ গঠনের অপেক্ষায় সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আছে।
তিনি বলেন, আট সপ্তাহ শেষে মঙ্গলবার চারজন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আমরা হাইকোর্টে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জামিন নেয়ার বিষয়টি প্রমাণ করতে সক্ষম হওয়ায় আদালত তাদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠান।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের টুলকিপার পদে নিয়োগ পরীায় দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ৭ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক মো.নাজিম উদ্দিন।
একই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর ৭ জনকে আসামী করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
অভিযোগপত্রভুক্ত ৭ আসামী হলেন, রেলওয়ের সাবেক মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধা, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান ও সাবেক সমাজ কল্যাণ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া এবং অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া চার প্রার্থী।
উল্লেখ্য গত বছরের ৯ এপ্রিল সুরঞ্জিতের এপিএসের গাড়িতে ৭০ লাখ টাকা পায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জওয়ানরা। এ সময় ওই গাড়িতে অভিযুক্ত ওই দু’জন ছাড়াও রেলের নিরাপত্তা বাহিনীর ঢাকা বিভাগীয় কমান্ড্যান্ট এনামুল হকও ছিলেন। সে রাতে ফারুকের গাড়ি চালক আলী আজম বিজিবি দফতরে টাকাসহ গাড়িটি ঢুকিয়ে দেন। ঘটনার পরদিন থেকে আলী আজম দরহস্যজনকভাবেদ নিখোঁজ রয়েছেন।
পরে ওই ঘটনার জেরে রেলমন্ত্রীর পদ ছাড়েন সুরঞ্জিত। বরখাস্ত হন ফারুক এবং সাময়িক বরখাস্ত হন মৃধা ও এনামুল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৪