চট্টগ্রাম: বিধি অনুযায়ী সিবিএ নির্বাচনে ১০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় মেঘনা পেট্রোলিয়াম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের (রেজি-বি-১৭৪৩) রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়েছে।
জানা গেছে, শ্রম আইনের ধারা অনুযায়ী গৃহিত ভোটের ১০ শতাংশ না পেলে রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যায়।
তবে পুরনো রেজিস্ট্রেশন নাম্বার বহাল রাখতে আইনি লড়াইয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর আওতায় মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড এ গত ১৭ এপ্রিল সিবিএ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচেন দুটি রেজিস্টার্ড ইউনিয়ন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে।
সারা দেশে ২৬৮ জন ভোটারের মধ্যে ১৪টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ২৪২জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
এরমধ্যে মেঘনা পেট্রোলিয়াম শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি-বি-১৮৩৩) পক্ষে ২৩০, মেঘনা পেট্রোলিয়াম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষে ১১ ভোট পড়ে। একটি ভোট বাতিল হয়।
গত ২২ এপ্রিল শ্রম অধিদপ্তর থেকে দেওয়া চিঠিতে(শ্র.প/আরটিইউ/সিবিএ(৯২৯)২০১৪) উল্লেখ করা হয় নির্বাচনে মেঘনা পেট্রোলিয়াম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ১১। যা প্রদত্ত ভোটের ৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ২০২ (২২) ধারা অনুযায়ী ‘যদি কোন যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি নির্বাচনে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রেড ইউনিয়ন প্রদত্ত মোট ভোটের দশ শতাংশের কম ভোট পায়, তাহা হইলে উক্ত ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রেশন স্বত:ই বাতিল হইয়া যাইবে। ’
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘মেঘনা পেট্রোলিয়াম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন(রেজি-বি-১৭৪৩) সিবিএ নির্ধারণী নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের দশ শতাংশের কম ভোট পাওয়ায় বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ধারা মোতাবেক উক্ত ইউনিয়নের রেজিস্ট্রেশন স্বত:ই বাতিল বলে গণ্য হবে। ‘
নির্বাচন নিয়মতান্ত্রিক হয়নি অভিযোগ করে দশ শতাংশের কম ভোট পেয়ে পরাজিত সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন,‘পুরনো রেজিস্ট্রেশন নাম্বার বহাল লাখতে আমরা আইনি লড়াইয়ে যাবো। ’
অন্যদিকে নব নির্বাচিত সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ শাহ বাংলানিউজকে বলেন,‘বিগত পাঁচ বছরে সংগঠনের স্বার্থ রক্ষায় কোন ধরণের কাজ না করে অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ায় ভোটের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছে শ্রমিক-কর্মচারীরা। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৪