চট্টগ্রাম: রপ্তানি কনটেইনার থেকে কাপড় আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলায় চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক ১৫ কর্মচারীকে আদালতে আত্মসমর্পণের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা ওই মামলায় আত্মসমর্পণের পর চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম ফরিদা পারভিন তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
কারাগারে যাওয়া ১৫ সাবেক কর্মচারী হলেন, সাবেক উচ্চমান সহকারী হুমায়ন কবির, অধীর কান্তি চক্রবর্তী, প্রদীপ কুমার মহাজন, মোস্তাফিজুর রহমান ও শ্যামল কুমার ভৌমিক, সাবেক নিম্নমান বহি:সহকারী মো.আতিকুর রহমান, সাবেক সহকারী ট্রাফিক পরিদর্শক সালেহ জহুর, সাবেক নিরাপত্তারক্ষী সিরাজুল হক মোল্লা, আলী আজম চৌধুরী, মনির আহমেদ, কামালউদ্দিন চৌধুরী, নজরুল ইসলাম ও ছগির আহমেদ এবং নিরাপত্তা বিভাগের সাবেক এএসআই হারুন চৌধুরী ও মিজানুর রহমান।
দুদকের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, বন্দরের সাবেক ১৫ কর্মচারী হাইকোর্ট থেকে অর্ন্তবর্তীকালীন জামিনে ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের ১৭ জন সাবেক কর্মচারীর বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি নগরীর বন্দর থানায় দুদকের উপ সহকারী পরিচালক সিরাজুল হক বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামীরা পরস্পরের যোগসাজশে ২০০০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ এপ্রিলের মধ্যে বন্দরের এক নম্বর ইয়ার্ডে কনটেইনার খুলে ১০০ বেল তৈরি পোশাকের মধ্যে ৯০ বেল পোশাক চুরি করে আত্মসাৎ করেন।
মামলাটি এখনও তদন্তের পর্যায়ে আছে বলে জানিয়েছেন দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক মাহমুদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০,২০১৪