চট্টগ্রাম: বন্ধুর কাছ থেকে প্রতারিত হয়ে কর্ণফুলী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন পোশাক কারখানার কর্মী সেলিনা আক্তার (১৮)। খবর পেয়ে তাকে বাঁচাতে ছুটে যান পুলিশ কনস্টেবল জয়নাল আবেদিন।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, সেলিনা আক্তারের বাড়ি কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের বৈদ্যেরখীল গ্রামে। তার বাবার নাম জমির খাঁ। সেলিনা চট্টগ্রাম নগরীর সিএন্ডবি বালুর মাঠ এলাকায় ইস্টার্ণ গার্মেণ্টস নামে একটি পোশাক কারখানায় চাকুরি করেন।
বর্তমানে বাকলিয়া থানার চাক্তাই পুলিশ ফাঁড়িতে কর্তব্যরত কনস্টেবল জয়নাল আবেদিন বাংলানিউজকে জানান, পোশাক কারখানায় চাকুরি করতে গিয়ে সেলিনার সঙ্গে এক মাইক্রোবাস চালক যুবকের পরিচয় ও পরবর্তীতে সম্পর্ক গড়ে উঠে। দীর্ঘদিন ধরে সেলিনাকে ওই যুবক বিয়ের প্রলোভন দিয়ে আসছিল।
সর্বশেষ জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহের শর্ত দেয় সেলিনাকে। গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দু’দিন ধরে অনেক চেষ্টার পর শনিবার প্রেমিককে এনে সনদটি দেয় সেলিনা।
এরপরও ওই যুবক বিয়ে নিয়ে টালবাহানা শুরু করলে ক্ষুব্ধ সেলিনা সোজা চলে যান শাহ আমানত সেতুতে। সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দেয়ার জন্য রেলিং ধরে দাঁড়ালে স্থানীয় লোকজন দেখে সেতুর প্রবেশমুখে পুলিশের চেকপোস্টে খবর দেয়। এসময় কনস্টেবল জয়নাল ছুটে গিয়ে ঝাপটে ধরে সেলিনার প্রাণরক্ষা করেন।
জয়নাল আবেদিন বাংলানিউজকে বলেন, আর কয়েক সেকেন্ড সময় পেলে হয়ত সেলিনা ঝাঁপ দিত। একটি প্রাণ বাঁচাতে পেরেছি ভেবে ভাল লাগছে।
সেলিনাকে বাকলিয়া থানায় নিয়ে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬,২০১৪