চট্টগ্রাম: সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের প্রতি সবার মনোযোগী হতে হবে। তাদের স্বাভাবিক বেড়ে উঠায় সহায়তা করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব।
শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর ডিসি হিলে শিশুদের পাঠশালা আয়োজিত দু’দিনব্যাপী শিশু উৎসবের শেষ দিনে আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। উৎসবে অর্ধশতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশু অংশ নেয়।
শিশুদের পাঠশালার পরিচালক শুকলাল দাশের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. গাজী সালেহ উদ্দিন। প্রধান আলোচক ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা ভূমি কমিশনের সচিব মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান।
ড. গাজী সালেহ উদ্দিন বলেন,‘সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা সমাজেরই অংশ, এদের অন্ধকারে রেখে সমৃদ্ধ দেশ সম্ভব নয়। তাদের স্বাভাবিক বেড়ে ওঠায় আমাদের মনোযোগী হতে হবে। ’
মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান বলেন, শিশুদের মানসিক বিকাশের যে দায়িত্ব আজ শিশুদের পাঠশালা নিয়েছে সেটা আমাদের প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব।
শিশুদের পাঠশালার পরিচালক শুকলাল দাশ বলেন, একধরনের স্বপ্নের জায়গা থেকেই পাঠশালার পথচলা। এ পথচলায় অনেক প্রতিবন্ধকতা, তবু স্বপ্ন দেখার সাহসই আমাদের পথচলাকে অব্যাহত রেখেছে।
এর আগে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মসুচিতে অংশ নেয় সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা। আলোচনা সভা শেষে আমন্ত্রিত অতিথিরা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের হাতে শিক্ষা উপকরণ তুলে দেন।
অনুপম দেবনাথ পাভেলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন শিশু উৎসব উদযাপন পরিষদের কো-চেয়ারম্যান এস এম ফরহাদ আলী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাধব দীপ, কো-চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন চৌধুরী আজাদ, রাজনীতিবিদ শওকত আলী, যুগ্ম মহাসচিব জাহেদুর রহমান সোহেল, যুগ্ম মহাসচিব রত্নাকর দাশ টুনু, এডভোকেট যীশু কৃষ্ণ রক্ষিত ও প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল, পাঠশালার উপ-পরিচালক রাশেদ খান মেনন।
দু’দিনব্যাপী শিশু উৎসবের সমাপনি দিনের কর্মসুচির মধ্যে ছিলো নগরীর সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ, চিরায়ত বাংলার পিঠা ও ফল প্রদর্শনী, বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, শিশুদের আঁকা চিত্রকর্ম প্রদর্শনী, শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও জনপ্রিয় যাদুশিল্পীর যাদু প্রদর্শনী।
শেষে হিল্লোল দাশ সুমনের পরিচালনায় সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠের শিল্পীরা সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৪