চট্টগ্রাম: বাঙালি জাতি এখনো পর্যন্ত তাঁর আত্ম পরিচয়ের জায়গায় নিজেকে দাঁড় করাতে না পারায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট আইনবিদ ব্যারিস্টার আমীরুল ইসলাম।
এ অবহেলা অব্যাহত থাকলে তা বাঙালি জাতির জন্য আত্মঘাতী হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর বই বিপনী বাতিঘরে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
চট্টগ্রাম নগরীর জামাল খান প্রেসকাব ভবনে বই বিপনীকেন্দ্র ‘বাতিঘর’ ও প্রকাশনা সংস্থা ঐতিহ্য যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অর্থনীতিবিদ মইনুল ইসলাম বলেন,‘তাজউদ্দীন আহমেদ সম্পর্কে আমরা যা জানতাম বইটিতে তা দলিল হিসেবে সমর্পিত হয়েছে। বইটিতে কতগুলো বিষয়ের গভীরে গিয়ে লেখক যে গবেষণা করেছেন তা আমাদের ইতিহাসকে বিকৃতির হাত থেকে রার প্রয়োজন মেটাবে। ’
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, গবেষণা করে যে তথ্য ভেসে ওঠে তা তুলে ধরতে হবে। এতে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের ইতিহাস বিকৃতির চক্রান্ত ভেস্তে যাবে।
তাজউদ্দীন আহমেদ: নেতা ও পিতা গ্রন্থের লেখক শারমিন আহমেদ বইটি লেখার প্রেরণা, কারণ উপযোগীতা তুলে ধরেন তাঁর বক্তব্যে।
তার লেখা বইটি পুরো পড়ার আহ্বান জানিয়ে পাঠকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, একে খন্ডিতভাবে দেখলে চলবে না। এখানে কাউকে ছোট বা বড় করার চেষ্টা করিনি। ফ্যাক্টসগুলো খাঁটিভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আর এটা বিচারের দায়িত্ব তরুণ প্রজন্মের।
বঙ্গবন্ধু ও তাজউদ্দীন এক অপরের সম্পূরুক ছিলেন উল্লেখ করে তাজউদ্দীন আহমেদের নাম ইতিহাস থেকে মুছে যাওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন শারমিন আহমেদ।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নাম মুছে যাওয়া ও ইতিহাস বিকৃতি ঘটার কারণই বই লেখার প্রেরণা জুগিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন,‘নতুন কিছু খুঁজতেই বই লেখা। ’
শারমিন বলেন, তরুণ বয়সের বেশিরভাগ সময় কেটেছে মার্কিন যুক্তরাস্ট্রে। দেশে ফিরে দেখি তাজউদ্দীন আহমেদ ইতিহাস থেকে বিলীন হয়ে গেছেন। সেই থেকে বাবাকে নিয়ে লেখার তাড়নাটা বোধ করলাম। নিজেকে জানা, ‘বাবাকে খোঁজা ও চেনার চেষ্টা থেকে বইটি লিখেছি। ’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর সহযোগী গোলাম মোরশেদ, প্রকাশক আরিফুর রহমান নাঈম বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘন্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৪