চট্টগ্রাম: কর্ণফুলী নদীর তিনটি ঘাট থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। মঙ্গলবার দুপুরে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
ঘাটগুলো হলো- পানঘাট, ফিশারি ঘাট ও নতুন ঘাট।
কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া শিরিন বাংলানিউজকে বলেন,‘ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কারণে দু’বছর ঘাট তিনটির ইজারা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এরমধ্যে অবৈধ দখলদাররা ঘাটগুলো দখল করে টোল আদায় করে আসছিলো। মঙ্গলবার অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে ঘাটগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। ’
কর্পোরেশন সুত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী কর্ণফুলী নদীতে ‘ক্যাপিটাল ড্রেজিং ও ব্যাংক প্রটেকশন’ প্রকল্পের কাজের প্রয়োজনে ৬টি ঘাটের ইজারা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানাই চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ(চবক)। অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সিটি কর্পোরেশন ২০১৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত ঘাটগুলোর ইজারা কার্যক্রম স্থগিত রাখে।
কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ ঘাটগুলো সিটি কর্পোরেশনকে বুঝিয়ে দেয়নি। ফলে ৬টি ঘাট ইজারা দিতে না পারায় করপোরেশন দু’বছরে প্রায় দেড় কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে।
ঘাটগুলো করপোরেশনকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে কয়েক দফা চিঠি দিয়েছে সিটি করপোরেশন। কিন্তু ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ না হওয়ায় ঘাটগুলো বুঝিয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ইজারা বন্ধ থাকলেও ঘাটের টোল আদায় বন্ধ ছিলো না। অবৈধ দখলদাররা ঘাটগুলো দখল করে নিজেদের মতো করে টোল আদায় করেছে।
কর্পোরেশনের সহকারি এস্টেট কর্মকর্তা এখলাস উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন,‘ইজারা বন্ধ থাকায় দু’বছর ধরে দখলদাররা অবৈধভাবে টোল আদায় করেছে। মঙ্গলবার তিনটি ঘাট থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর আগে দুটি ঘাট আমরা দখলে নিয়েছিলাম। ঘাটগুলোতে আগের ইজারাদার এবং আমাদের লোকজন টোল আদায় করবে। পরবর্তীতে দরপত্রের মাধ্যমে নতুন করে ইজারা দেওয়া হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৪