ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ফুয়েল চেকার

রেলে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ৬ জনের সাক্ষ্য

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৪
রেলে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ৬ জনের সাক্ষ্য

চট্টগ্রাম: রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ফুয়েল চেকার পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় মঙ্গলবার ৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ মামলায় এ পর্যন্ত বাদিসহ ২৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।



চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ এস এম আতাউর রহমানের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার যে ৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন তারা হলেন, চট্টগ্রাম কলেজের রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো.হযরত আলী মিয়া, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ নুরুল বাশার, মামলার তদন্ত কমিটির প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের উপ-পরিচালক আবু সাঈদ, নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় রেলওয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য মোফাজ্জল হোসেন, রেলওয়ের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান ও রেলওয়ের জুনিয়র ওয়েলফেয়ার অফিসার মো: আব্দুল্লাহ।


দুর্নীতি দমন কমিশনের পিপি অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, দু’শিক্ষক নিয়োগের সময় পরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। দুদক কর্মকর্তারা মামলা তদন্তের জন্য সুপারভিশন কর্মকর্তা হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আগামী ১২ মে এ মামলায় পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে বলে দুদক পিপি জানিয়েছেন।

মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের সময় আলোচিত আসামী রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধা এবং অতিরিক্ত প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী হাফিজুর রহমানসহ চারজনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।

ফুয়েল চেকার পদে নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগে ২০১২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। ২০১৩ সালের ১৮ আগস্ট পাঁচজনকে আসামী করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

ফুয়েল চেকার পদে অভিযুক্তরা হলেন, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বরখাস্ত হওয়া মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধা, সাবেক সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান এবং অবৈধভাবে নিয়োগের অপেক্ষায় থাকা দু’প্রার্থী আবুল কাশেম ও আনিসুর রহমান।

উল্লেখ্য ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল সুরঞ্জিতের এপিএসের গাড়িতে ৭০ লাখ টাকা পায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জওয়ানরা। এ সময় ওই গাড়িতে অভিযুক্ত ওই দু’জন ছাড়াও রেলের নিরাপত্তা বাহিনীর ঢাকা বিভাগীয় কমান্ড্যান্ট এনামুল হকও ছিলেন। সে রাতে ফারুকের গাড়ি চালক আলী আজম বিজিবি দফতরে টাকাসহ গাড়িটি ঢুকিয়ে দেন। ঘটনার পরদিন থেকে আলী আজম ‘রহস্যজনকভাবে’ নিখোঁজ আছেন।

পরে ওই ঘটনার জেরে রেলমন্ত্রীর পদ ছাড়েন সুরঞ্জিত। বরখাস্ত হন ফারুক এবং সাময়িক বরখাস্ত হন মৃধা ও এনামুল।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।