ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে যুবলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আটক ৩

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৪
চট্টগ্রামে যুবলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আটক ৩ ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানার টাইগারপাস এলাকায় মঙ্গলবার বিকেলে যুবলীগ ‍নামধারী সন্ত্রাসীদের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৪ জন আহত হয়েছে।



এছাড়া ঘটনার সময় প্রতিরোধ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া রামদা’র আঘাতে মো.ইলিয়াছ নামে এক পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করেছেন।


প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নগর যুবলীগ নেতা খোকন চন্দ্র তাঁতী এবং শহীদুল ইসলাম শামীমের অনুসারী সন্ত্রাসীরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিলেন। যুবলীগ নেতা হুমায়ন কবির মুরাদ হত্যা মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছেন নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত খোকন চন্দ্র তাঁতী। অন্যদিকে সাবেক মন্ত্রী ডা.আফছারুল আমিনের অনুসারী হিসেবে এলাকায় পরিচিত শামীম।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) বাংলানিউজকে বলেন, বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দু’পক্ষের লোকজন মারামারিতে লিপ্ত হয়েছিল। পুলিশ প্রতিরোধ করতে গেলে তারা পুলিশের উপর হামলার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ দু’জনকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে টাইগারপাস এলাকায় শামীম গ্রুপের সোহেল মুন্না নামে একজনকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে তাদের গ্রুপের লোকজনও ঘটনাস্থলে গেলে উভয়পক্ষে গোলাগুলি হয়।

বিকেল পৌনে ৪টার দিকে টাইগারপাস এলাকায় পাহাড়ি সরু পথে দু’গ্রুপের লোকজন আবারও রামদা, কিরিচসহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পরস্পরকে ধাওয়া করতে থাকে। এসময় নগরীর পাহাড়তলী থানা পরিদর্শন শেষে সিএমপি কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) বনজ কুমার মজুমদার এবং অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন, অর্থ ও ট্রাফিক) একেএম শহীদুর রহমান।

সন্ত্রাসীদের দু’গ্রুপ পরস্পরকে ধাওয়া করতে করতে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারদের বহনকারী গাড়ির সামনে এসে পড়ে। এসময় বনজ কুমার মজুমদারের দেহরক্ষী কনস্টেবল মো.ইলিয়াছ নেমে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে তাদের ধাওয়া দেয়। সংঘর্ষে লিপ্ত সন্ত্রাসীদের কয়েকজন  এসময় ছত্রভঙ্গ হয়ে পাহাড়ের ভেতর দিয়ে পালিয়ে যায়। কনস্টেবল ইলিয়াছ একজনকে ধাওয়া দিলে ওই সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে রামদা ছুঁড়ে মারে।

কনস্টেবল মো.ইলিয়াছ বাংলানিউজকে বলেন, আমি সন্ত্রাসীদের ধরার জন্য ধাওয়া দিলে তারা আমার উপর হামলার চেষ্টা করে। একজন আমার দিকে রামদা ছুঁড়ে মারলে আমি বাম হাতে চোট পেয়েছি। তবে রামদাটি উদ্ধার করে ওই সন্ত্রাসীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান খুলশী ও কোতয়ালী থানা পুলিশ। তারা চারদিক থেকে ঘিরে দুই সন্ত্রাসীকে আটক করতে সক্ষম হয়।

খুলশী থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই মামুনুর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, দু’জনকে আটক করে খুলশী থানায় এবং একজনকে কোতয়ালী থানায়  নেয়া হয়েছে। দু’গ্রুপের মারামারিতে একজন গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে।  

এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন এস আই মামুনুর রশিদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ঘণ্টা, এপ্রিল ২২,২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।