চট্টগ্রাম: সীতাকুণ্ড উপজেলার ইকোপার্কে আগুন দিয়েছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা। এ ঘটনায় ২১ নেতাকর্মীকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে আটক ছাত্রলীগ যুবলীগ কর্মীদের ছাড়িয়ে নিতে আওয়ামী লীগ নেতারা থানায় তদবির করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সুত্র জানায়, সোমবার দুপুর একটার দিকে ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইকোপার্কের পার্শ্ববর্তী এলাকায় জায়গা দখল করতে যায়। সেখানে তারা ব্যর্থ হয়ে সীতাকুণ্ড ইকোপার্কে প্রবেশ করে। ইকোপার্কের অভ্যন্তরে তাণ্ডব চালিয়ে একপর্যায়ে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে ইকোপার্কের ভেতরে থাকা দোকানপাট পুড়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু সন্ধ্যা সাতটার দিকে আবারো পাহাড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রাত ১০টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সীতাকুণ্ড স্টেশনের সিনিয়র ফায়ারম্যান মুরাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন,‘সোমবার দুপুর ১টার দিকে একদল সন্ত্রাসী ইকোপার্কে আগুন ধরিয়ে দেয়। মুহূর্তেই আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা প্রায় তিনঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সন্ধ্যা সাতটার দিকে আগুন আবারো ছড়িয়ে পড়ে। পুরো ইকোপার্ক জুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। ’
অন্যদিকে ঘটনাস্থল থেকে আটক ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীদের ছাড়িয়ে নিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা থানায় তদবির করছেন বলে জানা গেছে। তদবিরের পরিপ্রেক্ষিতে লঘুদণ্ড দিয়ে ছেড়ে দিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীদের নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতার না করে ভ্রাম্যমান আদালতের মুখোমুখি করছেন থানা পুলিশ।
রাত নয়টার দিকে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইফতেখার হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন,‘কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক ইকোপার্কে বিশৃঙ্খলা করেছে। তাদেরকে মোবাইল কোর্ট করা হয়েছে। ’
কিন্তু রাত দশটায় সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন ইমরান বাংলানিউজকে বলেন,‘১৫-১৬জন উচ্ছৃঙ্খল যুবককে আনার কথা। কিন্তু এখনো পর্যন্ত আমার কার্যালয়ে আনা হয়নি। ’
বাংলাদেশ সময়: ২২২০ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৪