ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় রেলওয়ের ৬ কর্মকর্তার সাক্ষ্য

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১৪
নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় রেলওয়ের ৬ কর্মকর্তার সাক্ষ্য

চট্টগ্রাম: রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী কেমিস্ট পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় বুধবার আরও ৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজন জব্দ তালিকার সাক্ষী এবং বাকি তিনজন তদন্ত দলের সদস্য।



সহকারী কেমিস্ট পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে দায়ের হওয়া এ মামলায় এ পর্যন্ত বাদিসহ ২০ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ এস এম আতাউর রহমানের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।


বুধবার যে ৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন তারা হলেন, তদন্ত টিমের সদস্য ও রেলওয়ের যুগ্ম-পরিচালক শামসুজ্জামান, কেন্দ্রীয় রেল ভবনের টেলিকম শাখার কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন ও রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের চীফ সুপারিনট্যানডেন্ট মিয়া জাহান এবং জব্দ তালিকার সাক্ষী রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) শহিদুল ইসলাম, জুনিয়র ওয়েলফেয়ার অফিসার এস এম আব্দুল্লাহ ও জুনিয়র পার্সোনাল অফিসার জহিরুল ইসলাম।

দুর্নীতি দমন কমিশনের পিপি অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, সহকারী কেমিস্ট পদে একইসঙ্গে ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আগামী ২১ এপ্রিল আবারও সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করেছেন।

এছাড়া ফুয়েল চেকার পদে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় ২২ এপ্রিল সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারিত আছে বলে তিনি জানান।

মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের সময় আলোচিত আসামী রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধা এবং অতিরিক্ত প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী হাফিজুর রহমানসহ চারজনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।

সহকারী কেমিস্ট পদে নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগে ২০১২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। ২০১৩ সালের ১৮ আগস্ট পাঁচজনকে আসামী করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

সহকারী কেমিস্ট পদে অভিযুক্তরা হলেন, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বরখাস্ত হওয়া মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধা, সাবেক সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান এবং অবৈধভাবে নিয়োগের অপেক্ষায় থাকা দু’প্রার্থী সুলতানা বেগম ও গণেশ চন্দ্র শীল।  

উল্লেখ্য ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল সুরঞ্জিতের এপিএসের গাড়িতে ৭০ লাখ টাকা পায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জওয়ানরা। এ সময় ওই গাড়িতে অভিযুক্ত ওই দু’জন ছাড়াও রেলের নিরাপত্তা বাহিনীর ঢাকা বিভাগীয় কমান্ড্যান্ট এনামুল হকও ছিলেন। সে রাতে ফারুকের গাড়ি চালক আলী আজম বিজিবি দফতরে টাকাসহ গাড়িটি ঢুকিয়ে দেন। ঘটনার পরদিন থেকে আলী আজম ‘রহস্যজনকভাবে’ নিখোঁজ আছেন।

পরে ওই ঘটনার জেরে রেলমন্ত্রীর পদ ছাড়েন সুরঞ্জিত। বরখাস্ত হন ফারুক এবং সাময়িক বরখাস্ত হন মৃধা ও এনামুল।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৪ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।