চট্টগ্রাম: পহেলা বৈশাখ। বাঙালির প্রাণের উৎসব।
আধুনিক যুগে পহেলা বৈশাখে বাঙালির প্রতীক হয়ে উঠা পান্তা-ইলিশের পাশাপাশি থাকছে দেশীয় শত পদের নানা আয়োজন।
হোটেল আগ্রাবাদ: পহেলা বৈশাখ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত থাকবে বৈশাখী নানা আয়োজন। নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি প্রতিদিন থাকবে বৈশাখী বুফে। ৭০-৮০ আইটেমের বুফেতে জনপ্রতি খরচ পড়বে ১ হাজার ২৯০ টাকা। শিশুদের জন্য ৭৯০ টাকা। এছাড়া রয়েছে গ্রুপ ডিসকাউন্ট। একসঙ্গে ৮ জন খাবার গ্রহণ করলে পাবে ১০ শতাংশ ছাড়।
হোটেল আগ্রাবাদের ব্যবস্থাপক(ফুড অ্যান্ড বেভারেজ) মনিরুল আলম সরকার বাংলানিউজকে বলেন,‘বৈশাখ উপলক্ষে পান্তা ও সর্ষে ইলিশের পাশাপাশি থাকবে দেশীয় ৭০-৮০ পদের বৈশাখী বুফে। রয়েছে শাক-সবজি ও বিভিন্ন শুটকি ভর্তাসহ বাহারী পদের খাবার। এছাড়া দু’টি হল রুমে মিউজিক্যাল শো’র আয়োজন রয়েছে। হোটেলকে সাজানো হয়েছে বৈশাখী সাজে। ’
পেনিনসুলা: বৈশাখ উপলক্ষে গ্রামীণ সাজে সাজানো হয়েছে হোটেল পেনিনসুলা। হোটেলটির লেগুনা রেস্তোরাঁয় সাত দিনব্যাপী দেশীয় খাবারের উৎসব। এখানেও রয়েছে ৪০ পদের বৈশাখী বুফে। জনপ্রতি খরচ পড়বে এক হাজার ৩০০ টাকা।
পেনিনসুলার মহাব্যবস্থাপক মোস্তাক লুহার বাংলানিউজকে বলেন,‘গ্রামীণ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে হোটেলকে সাজানো হয়েছে। দুপুরে ও রাতে দেশীয় খাবারের বুফে থাকবে। ভোজন রসিকরা এখান থেকে তৃপ্তি নিয়েই ফিরবে। ’
হোটেল অ্যাম্ব্রোশিয়া: বৈশাখ উপলক্ষে আগ্রাবাদ এলাকার অ্যাম্ব্রোশিয়া রেস্তোরাঁয় রয়েছে নানা আয়োজন। এরমধ্যে রয়েছে ১০১পদের বৈশাখী বুফে। এছাড়া নিয়মিত খাবার পাওয়া যাবে সঙ্গে থাকছে সঙ্গীত আয়োজন। জনপ্রতি খরচ পড়বে এক হাজার ৫০০টাকা। ছোটদের জন্য ১ হাজার ২‘শ টাকা।
রোদেলা বিকেল: বৈশাখ উপলক্ষে রসনা বিলাসীদের জন্য নগরীর স্টেডিয়াম পাড়ার রোদেল বিকেল রেস্তোরাঁয় রয়েছে বিশেষ আয়োজন। রোস্তোরাঁটির বৈশাখী মেন্যুতে রয়েছে শুঁটকি, ডাল ভর্তা, কাপ্তাই লেকের মাছ, সাদা ভাত, মেজবানের মাংস, চিতলের কোপ্তা, মাছের কাবাব, দেশি মুরগির ঝাল মাংস, খাসির ভুনা, চিকেন দম বিরিয়ানি, মাটন কাচ্চি বিরিয়ানি, ভুনা খিচুড়ি, ইলিশ ভুনা, সর্ষে ইলিশ, পরোটা নান, চিকেন টিক্কা, বিফ বটি কাবাব, ফিশ তন্দুরি, মগজের ভুনা, মুরগির কলিজা ভুনা, দই ফুচকা, স্পেশাল লাচ্চি, মৌসুমী ফলের রস কুলফি আইসক্রিম ও কফিসহ অনেক মজাদার আইটেম। পহেলা বৈশাখে সকাল ১১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত থাকবে এ আয়োজন।
রোদেলা বিকেলের ব্যবস্থাপক মাহবুবুল আলম বাংলানিউজকে বলেন,‘ফ্রেশ এবং টেস্টি ফুড পরিবেশনের ক্ষেত্রে আমরা কোনো রকম কম্প্রোমাইজ করি না। আবার খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য শরীরের ক্ষতিকর টেস্টিং সল্টও ব্যবহার করি না। ভোজন রসিকরা এখানে খাবার গ্রহণের পর তৃপ্তি নিয়েই ফিরবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৪