চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের করা আয়কর ফাঁকির মামলা রাজনৈতিক হয়রানিমূলক বিবেচনায় প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করে তাকে অভিযোগ থেকে অব্যহতি দিয়েছেন আদালত।
সোমবার চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্পেশাল জজ এস এম আতাউর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।
এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাটি রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পাঁচ বছর পর গত ২৭ মার্চ আদালতে এ সংক্রান্ত আবেদন জমা দিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকায় পাঁচ বছর এ আবেদন জমা দিতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ।
মহিউদ্দিন চৌধুরীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট রনি কুমার দে বাংলানিউজকে বলেন, ২০০৮ সালে মামলার কার্যক্রমের উপর হাইকোর্ট অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। ২০০৯ সালে মামলাটি হয়রানিমূলক বিবেচনায় প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়। গত ২০ মার্চ হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছেন। এরপর বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন জানানো হয়েছে। আদালত আবেদনটি আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন। সোমবার মামলা থেকে আদালত তাকে অব্যহতি দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে ২০০৪-২০০৫ করবর্ষে এক কোটি ১৩ লাখ ২৯ হাজার ১৫ টাকার দাখিলকৃত আয়কর রিটার্ন ও সম্পদ বিবরণীতে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ ও অর্জিত সম্পদের উপর ২৭ লক্ষ ৫৮ হাজার ৬০৭ টাকা কর ফাঁকির অভিযোগ পায় আয়কর বিভাগ। ২০০৮ সালের ৭ জুলাই অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার মো.জিয়াউল হক বাদি হয়ে মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
১৯৮৪ সালের আয়কর বিধিমালার ধারা ১৬৫ এবং ১৬৬ এবং তৎসহ জরুরি বিধিমালা ২০০৭ এর ১৫ বিধি ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয় সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে। মামলায় বাদীসহ মোট ৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছিল।
সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই মহিউদ্দিন চৌধুরীকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২০০৮ সালের ১৪ আগস্ট তিনি জামিন পান। ওই বছরের ৩ ডিসেম্বর মামলার কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ দেন হাইকোর্ট।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রাজনৈতিক বিবেচনায় দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহার সংক্রান্ত কমিটির দ্বিতীয় সভায় মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকির মামলাটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৪