ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

যাচ্ছেন আত্মীয় বাড়ি, সঙ্গে নিচ্ছেন ইয়াবা!

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০১৪
যাচ্ছেন আত্মীয় বাড়ি, সঙ্গে নিচ্ছেন ইয়াবা! ছবি: ফাইল ফটো

চট্টগ্রাম: চালের পিঠা, আঁচারসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে সিএনজি ‍অটোরিক্সায় করে নগরীর তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু থেকে কর্নেলহাট এলাকায় যাচ্ছিলেন দু’নারীসহ তিনজন। সঙ্গে আছে ছোট দু’শিশুও।

দেখে মনে হচ্ছিল, আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছেন।

কিন্তু পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পিঠা আর আচারভর্তি বস্তা তল্লাশি করে বের করে আনে দেড় হাজার পিস ইয়াবা।
টেকনাফ থেকে তারা কর্ণেলহাটে বিক্রির উদ্দেশ্যে ইয়াবাগুলো নিয়ে যাচ্ছিল।

শনিবার সকাল ৮টার দিকে নগরীর চামড়ার গুদাম এলাকা থেকে কোতয়ালী থানার এস আই কাজী মাসুদ ইবনে আনোয়ার ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা বংশোদ্ভূত তিন মায়ানমারের নাগরিককে আটক করেন।

আটক হওয়া তিনজন হল, মো.ইসমাইল (২৫), দিলারা বেগম (২৩) ও লায়লা বেগম (৩০)। তাদের সঙ্গে সাত ও দশ বছরের দু’শিশু আছে।

এস আই কাজী মাসুদ ইবনে আনোয়ার বাংলানিউজকে জানান, আটক মাদক বিক্রেতারা ২০১২ সালে মায়ানমারে দাঙ্গার সময় পালিয়ে বাংলাদেশে আসে। তাদের কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার একটি রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে ঠাঁই হয়। সেখানে থেকে তারা ইয়াবার ব্যবসা শুরু করে।

শনিবার সকালে তারা ইয়াবাগুলো নিয়ে টেকনাফ থেকে চট্টগ্রাম নগরীতে আসে। তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু এলাকায় বাস থেকে নেমে তারা কর্ণেলহাট যাবার জন্য সিএনজি অটোরিক্সা ভাড়া করে।

এস আই মাসুদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা অটোরিক্সাটি থামিয়ে তল্লাশি করতে চাইলে তারা আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছে বলে আমাদের জানায়। পিঠা, আচার, কাপড়চোপড় দেখে আমাদেরও প্রথমে সন্দেহ হয়। এরপর তল্লাশিতে পিঠা আর আচারের ভেতরে স্তরে স্তরে সাজানো ইয়াবার প্যাকেটগুলো পাওয়া যায়।

তিনি জানান, আটক তিনজনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। দু’শিশুকে তাদের সঙ্গে পাওয়ার বিষয়টি মামলার এজাহারে উল্লেখ থাকবে। এ বিষয়ে আদালত সিদ্ধান্ত দেবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২১০ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫,২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।