ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মহানগর এক্সপ্রেস এর একি হাল!

সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০১৪
মহানগর এক্সপ্রেস এর একি হাল! ছবি : ফেনী রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম

চট্টগ্রাম থেকে: এ যেন ভিন্ন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন। ভোর রাতের বৃষ্টিতে হাঁটু পানি জমে প্রবেশ পথ একাকার।

অনেকে কাপড় গুটিয়ে জুতা হাতে যাতায়াত করছিলো। কেউ কেউ আবার সিএনজি অটোরিকশায় একেবারে সিড়িতে গিয়ে নামছিলো।
অসম প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হয় সিড়ির কাছে যাওয়ার। যাত্রীদের চেয়ে রিকশা/সিএনজি অটোরিকশার চালকদের তাড়াটাই অনেক বেশি। কারণ আগে নামাতে পারলেই নতুন ভাড়া ধরতে পারবে এ আশায়।
 
প্রতিযোগিতার কারণে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয় প্রবেশ পথে। কিন্তু এমন কেউ নজরে পড়লো না, যিনি যানজট ছাড়ানোর চেষ্টা করছেন। কয়েক মিনিট ধরে এই প্রতিযোগিতা দেখছিলাম। আর ভাবছিলাম দেশের প্রধান রেলওয়ে স্টেশনের এই দশা হলে অন্যগুলো না জানি কি।
 
বৃষ্টির কারণে এমনিতেই কমলাপুর পৌঁছতে দেরি হয়ে গেছে। হঠাৎ মনে পড়ে গেলো আমারও তো মনে হয় ট্রেনের সময় হয়ে গেছে। হাতে থাকা মোবাইল ফোনে নজর পড়তেই পিলে চমকে যায়। মাত্র ৮ মিনিট সময় রয়েছে হাতে।
 
মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেস চট্টগ্রামের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে সকাল সাড়ে ৭টায়। আমি তেমনটাই জানতাম। ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স অব বাংলাদেশ’র(এফপিআরবি) সভাপতি মোল্লা আমজাদ হোসেন এমনটাই জানিয়েছিলেন। তিনিই ট্যুরের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন। তারা পাঠানো কয়েক দফা মেইল এবং এসএমএসেও সাড়ে ৭টাই লেখা ছিলো।

স্টেশনে ঢুকব কিন্তু কিভাবে, পায়েতো জুতা-মোজা। সব ভিজে একাকার হয়ে যাবে। এবার উৎকণ্ঠা খানিকটা বেড়ে যায়। ফোন দিলাম ট্যুরে সহযাত্রী ‘আমাদের সময়’ পত্রিকার রিপোর্টার লুৎফর রহমান কাকনকে। ফোন দিতেই অপর প্রান্ত থেকে উত্তর আসল, ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে কোথায় তুমি।
 
নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছিলাম সত্যি বলছেন কি-না। জবাবে বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে অনেক বদলে গেছে। এক্সপ্রেস ট্রেন এক মিনিটও দেরি করে না।
 
ফোন না রাখতেই চোখে পড়ে যাত্রী নামিয়ে বের হচ্ছিলেন এমন একজন রিকশা চালক। তার হাতে ১০ টাকা গুজিয়ে বললাম ভাই আমারে পানি টুকু পার করে দেন। ১২মিনিট সময় লাগল ৬মিটার পানি পথ পাড়ি দিয়ে সিড়ির কাছে যেতে। উপরে উঠে দেখি সেথানেও পানি ঢেউ খেলছে।
 
পড়ি মরি করে স্টেশনে ঢুকতেই বেশ কয়েকজন আমাকে দেখে হো হো করে হেসে ওঠেন। কারণটা আর কিছু নয়, আমাকে বোকা বানাতে সক্ষম হয়েছে তারা এই আনন্দে।
 
কাকনই বলে উঠল, ট্রেনের সিডিউল হচ্ছে ৭.৪০ টায়। এখনও ট্রেন কমলাপুরে আসেনি, আসলেই ছাড়বে। যতদূর জানা গেছে গত রাতে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসার পর কোথাও দুর্ঘটনা ঘটেনি। তাই চিন্তার কিছু নেই ট্রেন আসবেই।
 
কামরুল হাসান গিয়েছিলেন ট্রেনের খোঁজ নিতে। ফিরে এসে জানালেন ট্রেন এখনও আসেনি। আসলেই ছেড়ে যাবে। কখন আসবে সে সময় কেউ জানাতে পারে নি।
 
মহানগর প্রভাতী স্টেশনে পৌঁছে ৯টায়। একজন বলে ওঠেন এটা আবার প্রভাতী থাকল কেমনে। অন্যজন বলে ওঠেন রাতে ছাড়ার সময় যেভাবে একই ট্রেনের নাম তুর্না নিশিতা হয়ে যায়। নির্ধারিত সময়ের প্রায় পৌনে ২ঘণ্টা পর ট্রেন কমলাপুর থেকে যাত্রা শুরু করে।
 
আমাদের আসন ছিল ‘তাপানুকুল’ কামরায়। টিটু সাহা বলে ওঠেন অনেক ধরনের কূল বাজারে দেখি কিন্তু কোনদিন তাপানুকুল দেখলাম না। কিন্তু সেই তাপানুকুলে উঠে গন্ধে দম নেওয়া যাচ্ছিল না। তখন নামকরণ হয়ে গেলো গন্ধ গোকুল। পুরো বগিতে বিস্কুট, চকলেট, কমলা, পানির খালি বোতল ছড়ানো ছিটানো।
 
কয়েক মিনিট পরে সুইপারের দেখা মেলে। বলে ওঠেন আগেই উঠে পড়েছেন আমাকে পরিষ্কার করার সুযোগ দেন। যাত্রা শুরু হলে বিষিয়ে ওঠা মনটাও কিছুটা চাঙ্গা হয়ে ওঠে। কিন্তু রেলের চলার পথে দু’পাশের আবর্জনা দেখে মনে হচ্ছিল যেন কোন ডাস্টবিনের ভাগাড়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি।
 
বিশেষ করে খিলগাঁও বাজার, মগবাজার, কারওয়ান বাজার, তেজগাঁও বনানীসহ রাজধানীর অংশে মনে হচ্ছিল যেন কোন পচা নর্দমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। ঠিক তখনেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে একই ট্রেনে ওঠা কয়েকজন বিদেশির মুখগুলো।

তারা দু’ধারের এই দৃশ্য থেকে বাংলাদেশকে কি মনে করছে। একা একা লজ্জা পাচ্ছিলাম। আর ভাবছিলাম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উপলক্ষে পুরো রাজধানী পরিষ্কার পরিছন্ন করা হয়েছে। রঙ চটা গাড়িতে রঙ করতে বাধ্য করা হয়েছে। তাদের চোখে কি ট্রেনের রুট পড়েনি। না-কি তাদের ধারণা বিদেশিরা ট্রেনে উঠবে না।

নিজের দেশের অপদস্ত হওয়ার কথা ভেবে খুবই কষ্ট হচ্ছিল। ট্রেনটি এফডিসির কাছে পৌঁছে সাড়ে ৯টায়। সেখানে দৃশ্যমান কোন কারণ ছাড়াই ৪ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকে। এরপর আবার যাত্রা শুরু হয়।

চলে আসে বিমানবন্দর স্টেশন। সেখানে প্রায় ১০মিনিটের যাত্রা বিরতি দেয়। আবার যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু ট্রেনটি কিছুদূর পর পর পথেই দাঁড়িয়ে থাকছে। বেলা ১১.০৫ টায় মতিকান্দা(নরসিংদী), ১২.১০ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে প্রবেশের আগে ১০ মিনিট, ভৈরব স্টেশনের পরে, ফেনীতে প্রবেশ পথে, আন্দারকিল্লাসহ ৮টি অনির্ধারিত স্থানে যাত্রা বিরতি দেয়।

রেলওয়ে কর্মীরা জানায় সিগন্যাল ক্লিয়ার না পাওয়ায় অনেক সময়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। হঠাৎ দাঁড়িয়ে যাওয়া নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগের অন্ত:নেই। কারণ যাত্রীদের মধ্যে অনেক সময় আতঙ্ক কাজ করে ট্রেন আবার বিকল হয়ে গেলো কি-না। তা না হলে তো রাস্তায় দাঁড়ানোর কথা নয়।
 
মহানগর প্রভাতীর যাত্রা বিরতী রয়েছে এয়ারপোর্ট, ভৈরব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আখাউড়া, কুমিল্লা, লাকসাম, ফেনী হয়ে সর্বশেষ চট্টগ্রাম।
 
প্রায় প্রত্যেক স্টেশনের যথারীতি যাত্রী উঠা-নামা করছিলো। কিন্তু আখাউড়ায় এসে যাত্রীর যেন স্রোত নামে। কয়েক‘শ যাত্রী পড়ি মরি করে ট্রেনে উঠে পড়ে। তারা সাধারণ কামরায় দাঁড়ানোর স্থান না পেয়ে বিভিন্ন কামরায় অবস্থান নেন।
 
আমাদের কামরার মেঝেতেও ঠাই করে নেন কয়েকজন পুরুষ-মহিলা। পুরুষদের হটিয়ে দিলেও নারীদের কেউ কিছু না বলায় তারা মেঝেতে বসে পড়েন। পরে রেলেও কর্মীদের পীঁড়াপিড়িতে কিছুটা সরে গিয়ে কামরায় দরজার কাছে স্থান নেন।

রেলের অ্যাটেনডেন্ট সামছুল ইসলাম বলেন, আখাউড়া নিয়ে মহা মসিবতে আছি। অনেকে আছে কোন কথাই শুনতে চায় না। এসি কামরায় উঠে বসে থাকে। কথা বলতে গেলেই তেড়ে আসে। কেউ কেউ মদ খেয়ে গাড়িতে উঠে মাতলামি করে।

সামছুল ইসলাম বলেন, আগে আখাউড়ায় থামত না। সাইফুর রহমান অর্থমন্ত্রী থাকার সময়ে অনুমোদন করে গেছে। আখাউড়ার জন্য ১২০টি সিট বরাদ্দ থাকলেও প্রতিদিনেই প্রায় ৪ ‘শ মতো যাত্রী ‍ওঠে। যাদের স্ট্যান্ডিং টিকেট দেওয়া হয়।
 
স্ট্যান্ডিং টিকেটের যাত্রীরাই ঝামেলা করে। তারা বিভিন্ন রুমে ঢুকে পড়ে কিছু বলাও যায় না। আখাউড়ায় থামা বন্ধ করে দিতে পারলে রেলের কর্মী এবং যাত্রীরা শান্তি পেতো।

রেল কর্মীদের নিয়ে খুব বেশি অভিযোগ নেই যাত্রীদের।
 
বুয়েট প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মহানগর প্রভাতীর নিয়মিত যাত্রী তাসনিয়া বাংলানিউজকে জানান, বড় সমস্যা নির্ধারিত সময়ে ট্রেন ছাড়ে না। পরিস্কার পরিছন্নতার অভাব রয়েছে। আর এসি কামরায় মানুষ দাঁড়িয়ে থাকে।

তেলাপোকা, উইপোকার অবাধ বিচরণ। এগুলো বন্ধ হওয়া প্রয়োজন বলে দাবি করেন বুয়েটের এই শিক্ষার্থী।

ট্রেনটিতে চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন ফোন কোম্পানি ‘রবি’র কর্মকর্তা মকবুল আহমেদ বলেন, রেলকর্মীরা এখন অনেক ভালো আচরণ করে। কিন্তু পরিষ্কার পরিছন্নতার অভাব রয়েছে। অনেক সিট রয়েছে যেগুলো দেখলে গাঁ ঘিন ঘিন করে।

মানারাত ইউনির্ভাসিটির শিক্ষার্থী নাইমুন নাহার বলেন, মাঝে কিছুদিন ভালো ছিল। আবার অনিয়মিত হয়ে গেছে ট্রেন। কোন ট্রেন কখন ছাড়ে তার ঠিক ঠিকানা নেই। এতে মেয়েদের চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়ে। অনেক সময়ে বিকেলের টার্গেট করলেন গভীর রাত হয়ে যায় পৌঁছতে। ট্রেনের হোটেলে ভালো মানের খাবার পাওয়া যায় না।

ট্রেনটির সিটগুলোতে কভার নেই। রেলকর্মীরা জানায় ধুয়ে দেওয়ার জন্য দেওয়া হয়েছে। এসি কামরায় দু’দিকে ২টি করে এলসিডি টিভি থাকলেও প্রায় সবগুলোই অচল পড়ে রয়েছে। দু’একটি চালু থাকলেও সেগুলোতে নীতিবাক্য ‘রেল রাষ্ট্রীয় সম্পদ এর রক্ষনাবেক্ষণের দায়িত্ব সবার’ প্রদর্শিত হয়েছে সারাক্ষণ।
 
পথের স্টেশনগুলোর দৃশ্যও করুণ। ফেনী স্টেশনের প্লাটফর্মে গুরু ছাগল চরতে দেখা গেছে। যাত্রীদের বিশুদ্ধ পানি পানের জন্য টাইলস বাঁধানো টিপ কলের সিসটেম রয়েছে। কিন্তু একটিও কল নেই সেখানে।

তবে দু:খ কিছুটা লাঘব হয়ে যায় সীতাকুন্ড এলাকায় প্রবেশ করলে। দু’পাশে পাহাড় আর পাহাড়। আর পাহাড়ের কোল ঘেষে নানা রকম সবুজ বন ও ফসলী জমি। নয়ন জুড়ানো সৌদরর‌্য। তখন আবার মনে পড়ে বিদেশিরা নিশ্চয় এই দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হবে। আর দেশে গিয়ে গল্প করবে, বাহ বাংলাদেশ অনেক সুন্দর।
 
মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেসে স্লিপার ২টি কামরায় প্রত্যেকটিতে ৩৩ জন, সিগ্ধা (এসি কামরা) ৪টি কামরায় প্রত্যেকটিতে ৫৫ জন, শোভন (নন এসি) ৯টি বগিতে প্রত্যেকটিতে ৬০ জন করে বসতে পারে। এছাড়া দু’দিকে দু’টি খাবার গাড়ি ও খাবার গাড়ির সঙ্গে দু’টি হাফ যাত্রীবাহী কোচ রয়েছে।
 
ইঞ্জিনের ধারণ ক্ষমতা আরও বেশি। কিন্তু বগি অভাবে তা সংযোগ দেওয়া যাচ্ছে না। বগি সংযোগ দেওয়া গেলে যাত্রীদের দূর্ভোগ কমে যেতো বলে দাবি করেন, স্টুয়ার্ট মজিবুর রহমান।

চলন্ত অবস্থায়, ১ জন চালক ১ জন সহকারী চালক, ২ জন পরিচালক, ৪ জন টিটি, ৯ জন স্টুয়ার্ট, পাওয়ার কার মাস্টার, এসি অপরেটর ও টেকনিশিয়ান একজন করে অবস্থান করেন।
 
টিকেট ছাড়াই যাত্রী বহনের যেমন অভিযোগ রয়েছে। তেমনি বয়স্ক ও মহিলাদের নিজের আসন ছেড়ে দেওয়ারও নজীর রয়েছে অহরহ। বিকেল সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রাম স্টেশনে প্রবেশের আগে হৈ হৈ করে বেশ কিছু টোকাই ঢুকে পড়ে প্রতিটি কামরায়। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে পানির খালি বোতল সংগ্রহ। অভিযোগ রয়েছে সুযোগ পেলে তারা যাত্রীদের ব্যাগ নিয়েও চম্পট দিয়ে দেয়।

স্টেশনে নেমে নতুন অভিজ্ঞতা। ৪ থেকে ৬ বছর বয়সী বেশ কিছু শিশু যাত্রীদের পা জড়িয়ে ধরছে। টাকার জন্য। অনেকে বিরক্ত হয়েই কিছু ধরিয়ে দিয়ে রক্ষা পেতে চাইছেন। না দিলে পা ছাড়তে চাইছে না।
 
হিসাব মেলাচ্ছিলাম চেন্নাই এক্সপ্রেসে যাত্রার সঙ্গে। কলকাতা থেকে মাদ্রাজ ঠিক মনে নেই সম্ভবত ২৮ ‘শ কিলোমিটার ছিল। পাড়ি দিয়েছিলাম ৩২ ঘণ্টায়। মাঝে লোকাল ট্রেনগুলো রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে চেন্নাই এক্সপ্রেসকে সাইড দিয়েছে। কখনও চেন্নাই দাঁড়িয়ে কাউকে সাইড দেয় নি। আর আমাদের প্রভাতী এক্সপ্রেস ১০টি স্থানে দাঁড়িয়ে অন্যকে সাইড দিলো।
 
রেলের কর্মকর্তারা কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে বিদেশে গিয়ে ট্রেনিং নেন। তারা কি এসব বিষয় দেখেন না। না-কি দেখেও না দেখার ভান করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।