চট্টগ্রাম: নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় চন্দনাইশ উপজেলা চেয়ারম্যান ও এলডিপি নেতা আব্দুল জব্বার চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের একদিন পর তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বাদি।
বৃহস্পতিবার আব্দুল জব্বার চৌধুরীসহ ২৫ জন আসামী চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু সালেম মো.নোমানের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিচারক ২৫ জনের জামিন মঞ্জুরের পাশাপাশি মামলা প্রত্যাহারের আবেদনটি নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
আসামীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাফর ইকবাল বাংলানিউজকে বলেন, বাদিপক্ষের আপত্তি না থাকায় আদালত ২৫ জন আসামীর সবাইকে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন।
বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম সেন্টু বাংলানিউজকে বলেন, বিচারক মামলা প্রত্যাহারের আবেদনটি নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন। যেহেতু মামলাটি তদন্তাধীন আছে, তদন্তকারী কর্মকর্তা তার ক্ষমতাবলে এখন এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারবেন। এজন্য আদালতের আদেশের প্রয়োজন নেই।
বুধবার (২ এপ্রিল) শেখ শওকত হোসেন নামে চন্দনাইশ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক আওয়ামী লীগ কর্মী বাদি হয়ে চন্দনাইশ থানায় নির্বাচনী সহিংসতার মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার চৌধুরীসহ এলডিপির ২৫ নেতাকর্মী এবং অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামী করা হয়।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, গত ১৫ মার্চ নির্বাচনের দিন উপজেলার নয়াহাট এলাকায় আব্দুল জব্বার চৌধুরীসহ আসামিরা বাদির ওপর হামলা চালায় এবং তার টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।
বেশকিছু সংহিস ঘটনার মধ্য দিয়ে গত ১৫ মার্চের নির্বাচনে বিজয়ী হন দক্ষিণ জেলা এলডিপি’র জ্যেষ্ঠ্য সহ-সভাপতি আবদুল জব্বার চৌধুরী।
নির্বাচনে তিনি পান ৪৩ হাজার ৯৪৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত মোহাম্মদ কাসেম মোটরসাইকেল প্রতীকে পান ৪০ হাজার ১৫৮ ভোট।
আব্দুল জব্বার চৌধুরী গতবারও চন্দনাইশ উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩,২০১৪