চট্টগ্রাম: লালখান বাজার মাদ্রাসায় গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি ইজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
একই মামলায় আদালত আগামী ৬ এপ্রিল অভিযোগপত্রভুক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের সময় নির্ধারণ করেছেন।
মুফতি ইজহারুল ইসলাম এ মামলায় হাইকোর্টের অর্ন্তবর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। কিন্তু অভিযোগপত্র দাখিলের পরও তিনি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ না করায় বিচারক তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এস এম আব্দুর রশিদের আদালতে এ মামলার শুনানি হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, মুফতি ইজহারুল ইসলাম জামিনের অপব্যবহার করায় আদালত তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। ৬ এপ্রিল চার্জ গঠনের শুনানির সময় নির্ধারণ করেছেন।
সৃহস্পতিবার ৯ আসামীর মধ্যে গ্রেফতার থাকা আট আসামীকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
গত বছরের ৭ অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে নগরীর লালখান বাজারে মুফতি ইজহারুল ইসলাম পরিচালিত জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন ছাত্র আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দু’ছাত্র মারা যায়।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ল্যাপটপ চার্জার থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করে। তবে পুলিশ ওই কক্ষ তল্লাশি করে চারটি তাজা গ্রেনেড এবং বিপুল পরিমাণ গ্রেনেড তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেন। রাতে মুফতি ইজহারের বাসায় তল্লাশি করে ১৮ বোতল এসিড পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে নগরীর খুলশী থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন।
এর মধ্যে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক আইনের ৩ ও ৪ ধারায় দায়ের হওয়া মামলায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের হওয়া মামলায় মুফতি ইজহারুল ইসলাম ও তার ছেলে হারুন ইজহারসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে গত ১০ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
জঙ্গী সম্পৃক্ততার অভিযোগে আলোচিত-সমালোচিত মুফতি ইজহারুল ইসলাম ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের সভাপতি। নেজামে ইসলাম পার্টির একাংশের সভাপতি হিসেবেও তিনি দায়িত্বে আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৪
