চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরীতে দু’বন্ধুকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামী বাঁছা প্রকাশ সুন্দরলাল বাঁছা প্রকাশ ব্লেট বাঁছাকে (১৯) তিনদিনের রিমাণ্ডে নিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাঁছাকে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সৈয়দ মাশফিকুল ইসলামের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমাণ্ডের আবেদন জানায় খুলশী থানা পুলিশ।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (প্রসিকিউশন) মুহাম্মদ রেজাউল মাসুদ বাংলানিউজকে বলেন, বাঁছাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমাণ্ডের আবেদন জানানো হয়েছিল। আদালত তিনদিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিজের হেফাজতে নিয়েছে।
এজাহারভুক্ত এক নম্বর আসামী বাঁছাকে বুধবার ভোরে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার মাইকছড়ি বাজার থেকে আটক করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। একইসঙ্গে শাহআলম ও সাহেদ নামে আরও দু’জন এজাহারভুক্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
এছাড়া ঘটনার দিন জাহাঙ্গীর নামে এজাহারভুক্ত আরও এক আসামীকে গ্রেপ্তার করে খুলশী থানা পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমাণ্ডে নিয়েছে পুলিশ।
এর আগে সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে নগরীর খুলশী থানার ষোলশহর দু’নম্বর গেইট এলাকায় একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে দু’বন্ধু কামরুল ও ফোরকানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তারা উভয়ই নগরীর ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল।
কামরুল ইসলাম এমইএস কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আর ফোরকান সিইপিজেডে একটি কারখানায় কর্মরত ছিল।
এ ঘটনায় কামরুল ইসলামের বাবা আব্দুল হাকিম বাদি হয়ে ৯ জনকে আসামী করে দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১ ও ৩৪ ধারায় খুলশী থানায় একটি খুনের মামলা দায়ের করেন।
আসামীরা হল, বাঁছা প্রকাশ সুন্দরলাল বাঁছা প্রকাশ ব্লেট বাঁছা, সাহেদ, শাহআলম, জীবন প্রকাশ কাশেম, জাহাঙ্গীর, লেদু, ভুট্টু, আকাশ এবং বাহার।
এছাড়া লাশ উদ্ধারের সময় নগরীর ষোলশহর এলাকায় ছাত্রলীগের ভাংচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা এক’শ থেকে দেড়’শ জনকে আসামী করে দণ্ডবিধির ১৪৩, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ১৫২, ১৬৮, ৩৪১, ৩৫৩, ৪২৭ ও ৩৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন খুলশী থানার এস আই মো.রাসেল মিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ঘণ্টা, মার্চ ২০,২০১৪