চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ওই পরিবারের সদস্য ও বাদির ছোট ভাই নির্মল শীলকে জেরা শেষ করেছেন আসামীপক্ষের আইনজীবীরা।
এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এ মামলায় বাদিসহ পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হল।
রোববার চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ লা মং পঞ্চম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলী ও জেলা পিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম বাংলানিউজকে বলেন, নির্মল শীলের জেরা শেষে আদালত ১৬ মার্চ পর্যন্ত এ মামলার কার্যক্রম মূলতবি করেছেন। পরবর্তী ধার্য তারিখে নতুন সাক্ষী হাজির করা হবে।
এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্মল শীল আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরপর নির্মল শীলের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
উল্লেখ্য ২০০৩ সালের ১৮ নভেম্বর রাতে বাঁশখালীর সাধনপুর ইউনিয়নের শীলপাড়ায় তেজেন্দ্র লাল শীলের বাড়িতে একই পরিবারের ১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
নির্মম খুনের শিকার ব্যক্তিরা হলেন, তেজেন্দ্র লাল শীল (৭০), তার স্ত্রী বকুল বালা শীল (৬০), ছেলে অনিল কান্তি শীল (৪২) ও তার স্ত্রী স্মৃতি রাণী শীল (৩০), তাদের মেয়ে মুনিয়া শীল (৭) ও রুমি শীল (১১), চারদিন বয়সী শিশু কার্তিক শীল, তেজেন্দ্রর ছোট ভাইয়ের মেয়ে বাবুটি শীল (২৫), প্রসাদী শীল (১৭), অ্যানি শীল (১৫) এবং তেজেন্দ্রর বেয়াই দেবেন্দ্র শীল (৭৫)।
এ ঘটনায় কয়েক দফা অভিযোগপত্র দাখিল, বাদির নারাজিসহ নানা নাটকীয়তার পর ২০১২ সালের ১৯ এপ্রিল ৩৮ আসামির বিরুদ্ধে সম্পত্তি দখল করতে গিয়ে পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের ধারায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এরপর আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
তবে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকায় মামলার মূল আসামী আমিনুর রহমান বিচার কার্যক্রমের বাইরে আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ঘণ্টা, মার্চ ০৯,২০১৪