ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চেক প্রতারণা: এমইবি গ্রুপের বিচার শুরু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৫ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৪
চেক প্রতারণা: এমইবি গ্রুপের বিচার শুরু

চট্টগ্রাম: চেক প্রতারণার মাধ্যমে খেলাপি ঋণে পরিণত হওয়ার একটি মামলায় খ্যাতনামা শিল্প প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইলিয়াছ ব্রাদার্স (এমইবি গ্রুপ) এবং  প্রতিষ্ঠানটির দু’কর্ণধারের বিরুদ্ধে একটি মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। একই মামলায় আদালত ২৪ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করেছেন।



বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মুজিবুর রহমান এসব আদেশ দিয়েছেন। ‍অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মূলত এমইবি গ্রুপের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হল।


অভিযুক্ত এমইবি গ্রুপের দুই কর্ণধার হলেন, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নগর বিএনপির সহ-সভাপতি শামসুল আলম এবং তার ভাই এমইবি গ্রুপের চেয়ারম্যান নূরুল আবসার।

চট্টগ্রাম মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, সাড়ে ৬ কোটি টাকা চেক প্রতারণার মাধ্যমে খেলাপি ঋণে পরিণত হওয়ার মামলায় এমইবি গ্রুপ, শামসুল আলম এবং নূরুল আবসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়েছে। শামসুল আলম অনুপস্থিত থাকায় বুধবার তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। সেই পরোয়ানা অব্যাহত আছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ইসলামী ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণ পরিশোধের অংশ হিসেবে ২০১৩ সালের ১২ মার্চ একই ব্যাংকের আন্দরকিল্লা শাখার বিপরীতে ৬ কোটি ৫৭ লক্ষ ৬৭ হাজার ৬৮২ টাকার একটি চেক দেয় এমইবি গ্রুপ।

ওই বছরের ২৭ মে চেকের বিপরীতে টাকা উত্তোলন করতে গেলে ‘অপর্যাপ্ত তহবিলের’ জন্য চেক ডিজঅনার হয়। এরপর ২ জুন তাদের প্রথম দফা নোটিশ দেয় ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। কয়েক দফা লিগ্যাল নোটিশ দিয়েও ঋণগ্রহীতার সাড়া পায়নি ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

এতে তাদের দেয়া ঋণটি খেলাপি ঋণে পরিণত হওয়ায় ইসলামী ব্যাংকের আন্দরকিল্লা শাখার অফিসার মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বাদি হয়ে ২০১৩ সালের ২১ জুলাই আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এমইবি গ্রুপকে অভিযুক্ত করা হয়। এছাড়া এমইবি গ্রুপের চেয়ারম্যান নূরুল আবছার (৫৮) এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুল আলমকেও (৫৭) অভিযুক্ত করা হয়।

এর আগে সোমবার চেক প্রতারণার অভিযোগে দায়ের হওয়া আরও একটি মামলায় শামসুল আলম ও তার স্ত্রী, ভাইসহ মোট ৬জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরোয়ানা জারির চার ঘণ্টার মাথায় শামসুল আলমের আইনজীবী উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ জমা দিলে বিচারক পরোয়ানা স্থগিত করেন।

উল্লেখ্য শামসুল আলম নগর বিএনপির সহ-সভাপতি। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ হয়ে শামসুল আলম বিএনপিতে যোগ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ঘণ্টা, মার্চ ০৬,২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।