ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

টি-২০ বিশ্বকাপ

ফুলেল সাজে সাজছে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম

আবদুল্লাহ আল মামুন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট; ছবি: সোহেল সরওয়ার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২০ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০১৪
ফুলেল সাজে সাজছে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম

চট্টগ্রাম: প্রথমে দেখেই মনে হবে হরেক রঙের ফুলের বাগান। একটু খেয়াল করলেই দেখবেন সবুজ মাঠে ডানা মেলে উড়ছে প্রজাপ্রতি।

আকাশের তারারাও নেমে এসেছে মাঠে। পাশেই কুড়ে ঘর।
মাছ ধরার ছাই দিয়ে স্থাপনা। আছে পালকিও। বাদ যায়নি চট্টগ্রামের ঐতিহ্যের প্রতীক সাম্পান। সাইনবোর্ডে বান্দরবনের নীলাচল, জোড়া ঝর্ণাসহ তুলে ধরা হয়েছে বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন পর্যটন স্পটও।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এমন ফুলেল সাজে সাজছে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা খেলোয়াড় ও ক্রীড়ামোদিরা বাইরে বিবর্ণতায় কিছুতা হতাশ হলেও স্টেডিয়ামের অভ্যন্তরে ফুলের মনোরম সজ্জায় মোহিত হবেন।

স্টেডিয়ামের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজের তদারক করছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। কাজটি বাস্তবায়ন করছেন চারুশিল্পী সায়েম হোসেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের একঝাঁক নবীন শিক্ষার্থী।



সরেজমিন দেখা গেছে, স্টেডিয়ামে ঢোকার মুখেই আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জহুর আহমেদ চৌধুরী’র ভাস্কর্য। ব্যাকগ্রাউন্ডে চিত্রে তুলে ধরা হচ্ছে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য। স্টেডিয়ামের সীমানায় প্রবেশ করলেই নয়নাভিরাম বাহারি ফুলের সজ্জা আপনাকে মোহিত করবে। পাশেই চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যটন স্পটের ‌ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার দৃশ্য। চিত্রে চিত্রে তুলে ধরা হয়েছে বান্দরবানের জোড়া ঝর্ণা, নীলগিরি, কাপ্তাই লেক, নীলাচল, বাটারফ্লাই পার্ক, রাখাইন ফেস্টিভ্যাল, সিটি গেইট, স্বর্ণ মন্দির ও কক্সবাজারের শুটকি শুকানোর দৃশ্য। এছাড়াও স্থাপন করা হয়েছে রিকশা, সাম্পান, পালকি, মাছ ধরার ছাইয়ের স্থাপনা ও গ্রামীণ কুঁড়ে ঘর।



চারুশিল্পী সায়েম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন,‘মাঠের ভেতরে তো সবুজ। তাই বাইরে বাহারি রঙের ফুল দিয়ে সাজানোর চেষ্টা করছি। ফুলের বাগানের মাধ্যমে প্রজাপতি, কুঁড়ে ঘর, ব্যাট-বল, তারা, নৌকা এসব চিত্রায়ণের চেষ্টা করা হয়েছে। লোকজ উপাদানগুলোকে ব্যবহার করে গ্রামীণ শিল্প ও সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রিন্টেড ছবির মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য চিত্রায়ন করা হয়েছে। ’



সাম্পানে নকশার কাজ করছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউটের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী পারমিতা সরকার। বললেন,‘সাজসজ্জা দেখে বিদেশের খেলোয়াড় ও ক্রীড়ামোদিরা যাতে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারে সে চেষ্টা করছি এবং আমাদের কাজগুলোও সে আঙিকে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। ’



স্টেডিয়ামে সাজসজ্জার দায়িত্বে আছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। আগামী ১৬ মার্চ ‍অনুষ্টিত হবে টি-২০ বিশ্বকাপের আসর। এ আসরের ৩৫টি ম্যাচের মধ্যে ১৫টি অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে। দুয়ারে বিশ্বকাপ কড়া নাড়ায় জোরেসোরে এগিয়ে চলছে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ। আগামী ৮ মার্চের মধ্যে সাজসজ্জার কাজ শেষ করা হবে বলে জানান সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের কর্নেল রেজা।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন,‘দুই পর্বে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ চলছে। এক পর্বের কাজ ৬ মার্চের মধ্যে শেষ হবে। অন্য পর্বের কাজও একই সময়ে শেষ হতো। কিন্তু বিসিবি’র কর্মকর্তারা এসে নকশা পরিবর্তন করায় একটু দেরি হয়ে যাচ্ছে। তবে ৮ মার্চের মধ্যে সম্পূর্ণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।