ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২, ১৫ জুলাই ২০২৫, ১৯ মহররম ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কুকুর লেলিয়ে হত্যা মামলায় বাদির জেরা অব্যাহত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:০২, মার্চ ৪, ২০১৪
কুকুর লেলিয়ে হত্যা মামলায় বাদির জেরা অব্যাহত

চট্টগ্রাম: কুকুর লেলিয়ে দিয়ে মেধাবী ছাত্র হিমাদ্রি মজুমদার হিমু হত্যা মামলার বাদি ও হিমু’র মামা শ্রীপ্রকাশ দাশ অসিতকে মঙ্গলবার আবারও জেরা করেছেন আসামীপক্ষের আইনজীবীরা। জেরা অসমাপ্ত অবস্থায় আদালত আগামী বুধবার  পর্যন্ত এ মামলার কার্যক্রম মূলতবি করেছেন।



চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো.শহীদুল ইসলামের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মুজিবুর রহমানের আদালতে এ মামলায় বাদির জবানবন্দি ও আংশিক জেরা হয়।
এরপর মঙ্গলবার মামলাটি বর্তমান আদালতে স্থানান্তর করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বাদি অসিতকে দু’জন আসামীর আইনজীবী জেরা করেন। জেরায় আসামীপক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, হিমুর আপন মামা না হওয়া স্বত্ত্বেও শুধুমাত্র টাকার লোভে মামলা করে নিরীহ লোকজনকে হয়রানি করছেন।

জবাবে বাদি শ্রীপ্রকাশ দাশ অসিত বিষয়টি সত্য নয় বলে জানান। এরপর আইনজীবীরা হিমুর আপন মামারা কোথায় থাকেন, বাদির বাড়ি কোথায়, তিনি কোথায় থাকেন, তার পেশা কি এসব বিষয় নিয়ে জেরা করেন।

বাদি শ্রী প্রকাশ দাশ অসিত বাংলানিউজকে বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি জেরা শুরু হয়েছিল। আজও (মঙ্গলবার) জেরা হয়েছে। কাল (বুধবার) আবারও জেরা হবে বলে জানিয়েছেন আমাদের আইনজীবী।

এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি পাঁচ আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি বাদি শ্রীপ্রকাশ দাশ অসিত প্রথম দফা সাক্ষ্য দেন।

মামলায় অভিযুক্ত পাঁচ আসামি হলেন, জাহিদুর রহমান শাওন, জুনায়েদ আহমেদ রিয়াদ এবং তার বাবা শাহ সেলিম টিপু, শাহাদাত হোসেন সাজু ও মাহবুব আলী ড্যানি।

উল্লেখ্য ২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল নগরীর পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ‘ফরহাদ ম্যানশন’ নামের ১০১ নম্বর বাড়ির চারতলায় হিমুকে হিংস্র কুকুর লেলিয়ে দিয়ে নিমর্মভাবে নির্যাতন করে সেখান থেকে ফেলে দেয় অভিজাত পরিবারের কয়েকজন বখাটে যুবক।  

গুরুতর আহত হিমু ২৬ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ২৩ মে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। হিমু পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ইংরেজি মাধ্যমের সামারফিল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের ‘এ’ লেভেলের শিক্ষার্থী ছিল।

এ ঘটনায় হিমুর মামা শ্রীপ্রকাশ দাশ অসিত বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় পাঁচজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের এক মাসের মাথায় আসামী শাহাদাৎ হোসাইন সাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এরপর ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর শাহ সেলিম টিপু ও ছেলে রিয়াদ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠান। কিন্তু পরবর্তীতে তিনজনই জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে যান। বাকি দু’জন শুরু থেকেই পলাতক আছেন।

২০১২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পাঁচলাইশ থানা পুলিশ ওই মামলায় এজাহারভুক্ত পাঁচজন আসামীকে অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ১৮ অক্টোবর পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম।  

ওই আদালত থেকে বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়ে মামলাটির নথি নভেম্বরের শুরুতে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসে এবং অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, মার্চ ০৪,২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।